রুপসীবাংলা৭১ অন্যান্য ডেস্ক : সাদা, ধূসর, কালো কিংবা একাধিক রঙের লোমে ঢাকা ছোট ছোট প্রাণীগুলো ছিল মঞ্চে উপবিষ্ট। প্রাণীগুলোর চোখে-মুখে কৌতূহল, তবে আচরণে ছিল রাজকীয় ভঙ্গিমা। জামালপুরে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো এমন ব্যতিক্রম বিড়াল প্রদর্শনী।শনিবার (২ আগস্ট) সকালে শহরের নিউ কলেজ রোড এলাকায় আয়োজন করা হয় এই প্রদর্শনীর।
এতে নানা জাতের অর্ধশতাধিক বিড়াল হয়ে ওঠে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কারো চোখ নীল, কারো লোমে দাগ, আবার কেউ নিছকই দুষ্টুমিপ্রিয়। প্রদর্শনীটি প্রাণীপ্রেমী শহরবাসীর মিলনমেলায় পরিণত হয়। কেউ আসেন নিজের আদরের বিড়ালকে সঙ্গে নিয়ে, কেউবা শুধুই দেখার আনন্দে।
পুরো এলাকাজুড়ে ছিল রঙিন ব্যানার, ক্যাট ফুডের স্টল, আর নানা সচেতনতামূলক পোস্টার। আয়োজকরা বলেন, দেশি, পার্সিয়ান ও মিক্স-ব্রিডের বিড়ালগুলো একেকটা যেন একেকটি জীবন্ত চরিত্র। আর এই প্রদর্শনীতে শুধু দেখানোই নয়, ছিল দায়িত্বশীলতার পরিচয়ও। অংশগ্রহণকারী বিড়ালদের জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে দেওয়া হয় ভ্যাকসিন।
বিড়ালের স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা সম্পর্কেও মানুষকে সচেতন করাই তাদের উদ্দেশ্য বলে জানান আয়োজকরা। আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী শাকিলা জান্নাত বলেন, ‘আমরা দুই বান্ধবী একসঙ্গে এদিকে ঘুরতে এসেছিলাম। পরে দেখি এমন আয়োজন। কখনো ভাবিনি জামালপুরে এমন কিছু হবে।’
প্রদর্শনীতে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের একজন বলেন, ‘আমার বিড়ালকে নিয়ে এসেছিলাম। তাকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। শুধু আমি নই, আমার মতো অনেকেই বিড়াল নিয়ে এসেছেন। ভাবছিলাম বিড়াল শান্ত থাকবে না বাইরে। কিন্তু নিয়ে আসার পর একদম শান্ত ছিল, কোনো নড়াচড়া করেনি।’
অনুষ্ঠানটির আয়োজক ডা. নাজমুন নাহার বলেন, ‘আমাদের সমাজে বিড়ালকে অনেক সময় নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়। সেই মনোভাব বদলাতেই আমাদের এই উদ্যোগ। বিড়াল যেন সঠিকভাবে লালন-পালন পায়। সে ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দিচ্ছি। ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
রুপসীবাংলা৭১/এআর