নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার মুরাদনগর থানাধীন এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নারীকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ধর্ষণ, মারধর ও নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে আজ ১ জুলাই ২০২৫, সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির (৬৭ টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্য্যাটফরম) একটি ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকা থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন ব্লাস্ট, ব্র্যাক, একশন এইড বাংলাদেশ, কর্মজীবী নারী, উইক্যান, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

উক্ত প্রতিনিধিদলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ হতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনেরকেন্দ্রীয় আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া বেগম শান্তি, সমাজকল্যাণ সম্পাদক হুমায়রা খাতুন, আন্দোলন উপপরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মাকসুদা আক্তার লাইলী, গণমাধ্যম উপ পরিষদের সদস্য সেবিকা দেবনাথ, এডভোকেসি এন্ড নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী, লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি পরিচালক দীপ্তি রানী সিকদার এবং লিগ্যাল এইড অফিসার সৌমিক শরীফ শাওন ।
পরিদর্শন কালে প্রতিনিধি দল প্রথমে কুমিল্লা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা সুপারইনটেনডেন্ট অফ পুলিশ এবং মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাত করে এ ঘটনার দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তির অবিলম্বে শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়ে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় নির্যাতনের শিকার নারী ও তার পরিবারকে ন্যায় বিচার পেতে জেলা প্রশাসক ও জেলা সুপারেনটেনডেন্ট অফ পুলিশ আগতপ্রতিনিধি দলকে সকল রকম সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন ।
জেলা প্রশাসক ও জেলা সুপারেনটেনডেন্ট অফ পুলিশ এবং মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ শেষে প্রতিনিধি দল কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে একটি মানববন্ধন করেন । মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে উক্ত ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচারে দাবী জানিয়ে এ ধরণের ঘটনা পুনরাবৃত্তিরোধে প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। একইসাথে ঘটনাটিকে রাজনৈতিকরণ করে হালকা করে দেখার যে মানসিকতা লক্ষ করা যাচ্ছে তা পরিহার করতে তারা প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।
মানববন্ধন শেষে প্রতিনিধিদল নির্যাতনের শিকার নারীর বাড়িতে গিয়ে বাড়ি তালাবদ্ধ দেখতে পান, পরবর্তীতে প্রতিবেশীদের সাথে আলাপচারিতার মাধ্যমে তারা জানতে পারেন ভুক্তভোগী নারী ও তার বাবার বাড়ির সদস্যরা অন্যত্র চলে গেছেন।