নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দিঘীনালা, খাগড়াছড়ি সদর ও রাঙ্গামাটিতে সেটলার বাঙালি কর্তৃক জুম্মদের ওপর হামলা, দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শাহবাগে “বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র জনতা”র আহ্বানে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় ৭২ ঘন্টাব্যাপী ডাকা অবরোধ সফলভাবে পালিত হয়েছে। অবরোধ সফল করায় “বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র জনতা” সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানায়। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর, সোমবার অবরোধের শেষ দিনে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।
অবরোধের প্রথম দিনে বিকাল ৫টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের ঠাকুরছড়াতে শান্তিপূর্ণ অববোধ চলাকালীন পিকেটারদের লক্ষ্য করে সেনাবাহিনী গুলি বর্ষণ করে। তবে কোনো হতাহতে ঘটনা ঘটেনি। তৃতীয় দিনে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে শান্তিপূর্ন পিকেটিংয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাঁধা প্রধান করে, যা পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই তা প্রমান করে।
বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র জনতার নেতৃত্ববৃন্দ অন্তর্বতীকালীন সরকারকে অবিলম্বে ৭ দফা দাবিনামা মেনে নেয়ার জন্য আহ্বান জানান। দাবিগুলো হচ্ছে-
১. খাগড়াছড়ি সদর, দিঘীনালা ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার পাহাড়ি অধিবাসীসহ তিন পার্বত্য জেলার জুম্ম জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২. জাতিসংঘের তত্বাবধানে ও অংশগ্রহণে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালা হামলার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
৩. সেনাবাহিনীর এলোপাতাড়ি গুলিতে খুন হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারবর্গকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. জুম্মদের ক্ষতিগ্রস্থ বৌদ্ধ বিহার পুনঃনির্মাণ ও দোকান-পাট ও বাড়িঘরের মালিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. ঘটনার সাথে জড়িত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্ত এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬. পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সেনা-সেটলারদের প্রত্যাহার করতে হবে।
৭. পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে অবিলম্বে স্বায়ত্তশাসন প্রদানসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অবিলম্বে ৭ দফা দাবি সরকার মেনে না নিলে শীঘ্রই নতুন কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে নেতৃবৃন্দ জানান।