ইকবাল হোসেনঃ সোমবার ১৯ আগষ্ট জাতীয় প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে ১১৫৫ জন পরিবার পরিকল্পনা মহিলা ‘স্বেচ্ছাসেবীর চাকুরী স্থায়ীকরণ ও মেয়াদ বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তারা এই দাবি জানান।
রফিকুল হাসান বলেন , স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধিন ফিল্ড সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশের ৪০টি জেলার ৮২টি উপজেলায় আমরা ১১৫৫ (এক হাজার একশত পঞ্চার) জন পরিবার পরিকল্পনা মহিলা স্বেচ্ছাসেবী ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে কর্মরত ছিলাম। বাংলাদেশের দুর্গম অঞ্চলে। হার্ড টু রিচ এতিয়া) পরিবার কল্যাণ সহকারীর স্বল্পতার কারণে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আমাদের কে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বিগত প্রায় ১২ বছর যাবত আমরা রাজস্ব খাতে কর্মরত পরিবার কল্যান সহকারী পদের অনুরূপ দ্বায়িত্ব পালন করে আসছি। যার মধ্যে রয়েছে প্রায় ১২,০০,০০০ জন সক্ষম দম্পতি কে রেজিষ্টারে লিখিত ও ট্যাবে অনলাইন রেজিষ্টেশন সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেবা নিশ্চিত করা, গর্ভবর্তী মায়েদের তালিকা প্রস্তুত ও তাদের প্রতিষ্ঠানিক নিরাপদ প্রসব সেবা নিশ্চিত করা, মা ও শিশু পুষ্টি সেবা নিশ্চিত করা, কিশোর-কিশোরীদের বয়সন্ধিকালীন স্বাস্থ্য সেবা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী গ্রহণ ও ঘরে ঘরে তা পৌঁছে দেওয়া, স্থায়ী ও দীর্ঘ্যমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পরতি গ্রহণকারী রেফার করা। অর্থাৎ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেবা দুর্গম অঞ্চলের (হার্ড টু রিচ এরিয়া) মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ আমরা করে আসছি। আমাদের কার্যক্রমের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাতৃ মৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হ্রাস পেয়েছে এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তাছাড়া কোডিড-১৯ এর মহামারী এর সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উল্লেখিত নিয়মিত সকল কাজের পাশাপাশি কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন প্রদানের ক্যাম্পে সেবা প্রদান করেছি। জাতীয় সকল টীকা কার্যক্রমে আমরা। ১ম সারীতে অংশগ্রহণ করে আসছি। আমাদের অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত হতদরিদ্র, বিধবা/ডিভোর্সি এবং পরিবারের একমাত্র উপার্যনক্ষম ব্যক্তি। বিগত ১২ বছরে আমরা এখানে যৎসামান্য আয়ে কোনমতে ডাল-ভাত খেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছি। বহু প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে ও অধিদপ্তরে লিখিত এবং মৌখিক ভাবে আমরা চাকুরী স্থায়ীকরণ ও বেতন বৃদ্ধির জন্য আবেদন করে ভাসছি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বিগত ০১/০৭/২০২৪খ্রিঃ তারিখ থেকে আমাদেরকে জানানো হচ্ছে যে আমাদের প্রজের শেষ হয়ে গেছে এবং কর্মস্থলে অংশগ্রহণে বিরত রাখছে। গত ১২ বছর যাবত নিষ্ঠার সাথে কাজ করেও আমরা সরকারী সুযোগ সুবিধা। থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছি এবং এখন দীর্ঘ্য অভিজ্ঞতা ও অবদান থাকা সত্বেও আমাদেরকে চাকুরীচ্যুত করে নতুন নিয়োগের পরিকতনা চলছে বলে জানতে পেরেছি। উল্লেখ্য যে, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের স্বারক নং-৫৯,১১.০০০০.১৫২.১১০.৪১/২৩- ১০৮১ তারিখঃ ০৬/০৩/২০২৪খ্রিঃ মোতাবেক ৩৯০১ টি “পরিবার কল্যাণ সহকারী” পদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
১১৫৫ জন পরিবার পরিকল্পনা মহিলা ‘স্বেচ্ছাসেবীর দাবী সমূহঃ
১. যেহেতু ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদের সমপরিমান ও অনুরূপ কাজে ১০-১২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, আমাদের ১১৫৫ (এক হাজার একশাত পঞ্চান্ন) জন পরিবার পরিকল্পনা মহিলা ‘স্বেচ্ছাসেবী’ এর চাকুরী “পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে স্থায়ীকরণ করতে হবে।
১. স্থায়ীকরণ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের নিয়োগ ও প্রজেক্ট চলমান রাখতে হবে।
উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক রফিকুল হাসান, রাকিব, ইশিতা, নুর নেহার, রাশিদা রুমা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।