ইকবাল হোসেনঃ ইসলামী সমাজ’ ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চল-২ এর দায়িত্বশীল জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিন এর সঞ্চালনায় ” তিন দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে, দুনিয়ার জীবনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় থেকে বাঁচতে এবং আখিরাতের জীবনে জাহান্নাম থেকে রক্ষা পেয়ে জান্নাত লাভ করতে হলে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনের দাবি জানান তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহাসতোর ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনে কুমিল্লা টাউন হল ময়দান থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ গনজাগরণ যাত্রা কর্মসূচি গত ২৮ মে কুমিল্লা টাউন হল মায়াদান থেকে শুরু হয়ে ইসলামী সমাজের কেন্দ্র কুশিয়ারা বাজারে ও গতকাল ২৯ মে কুশিয়ারা বাজার থেকে শুক হয়ে চিটাগাং রোড পর্যন্ত এবং আজ শেষের দিন ৩০ মে সকাল ১০টায় চিটাগাং রোড থেকে গণজাগরণ যাত্রা শুরু করে জাতীয় প্রেসক্রান বলে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত করা হয়। গণজাগরণ যাত্রা চলাকালীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংক্ষিপ্ত পথসভায় করেন।
বৃহস্পতিবার,৩০ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, ইসলাম সমাজ এর উদ্যোগে :সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনের লক্ষ্যে ইসলামী সমাজের তিন দিনব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা কর্মসূচি সু-সম্পন্ন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে তিনি এই কথা বলেন,
ইসলাহী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলামের পরিবর্তে গণতান্ত্রিক জাহিলি শাসন ব্যাবস্থা সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত থাকায় দিন দিন মানবতা বিরোধী অপরাধ বেড়ে চলছে, যার কারণে আল্লাহ রাস্তুল আলামীনের আযাব-গজবের মাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থ সম্পদের মোহ এবং ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মানুষে মানুষে সংঘাত-সংঘর্ষ ও নৈরাজা মূলতঃ আল্লাহ রানুল আলামীনের আযাব -গজবেরই অংশ। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মূলোৎপাটন না হলে দেশে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিবে, দেশ ও জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, মানুষ যখন তাদের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকেই সার্বভৌমত্বের মালিক, আইনমাতা-বিধানদাতা ও শাসনকর্তা গ্রহণ করে বা মেনে নেয় তখন তারা মূলতঃ দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী হয়ে মানবতা বিরোধী অপতৎপরতায় লিখ হয়। মানুষের সার্বভে রচিত ব্যবস্থা মেনে জীবন যাপন করলে জাতির মানুষ কখনো ঐক্যবদ্ধ থাকে না বরং দলে-উপদলে বিভক্ত হয়ে সংঘাত ও সংঘর্থে করে তিনি বলেন, সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলামই মূলত মানুষকে হৈে শাড়িতে জীবন-যাপন করার সু-ব্যবস্থা করে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে মানষ রচিত জাহিলি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠি চরমে সহিংসতা চলছে, যার কারণে বিশ্বের মানুষ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখী অবস্থান করছে।
তিনি আরো বলেন ,আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ, সশস্ত্র লড়াই, সেনা ক্যু এবং গণআন্দোলন- এসবের কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত পদ্ধতি নয়, এসবই ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে চরম বিভ্রান্তি ও ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতা। এসবের বিরুদ্ধে ইসলামী সমাজের দৃঢ় অবস্থান। সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতি হচ্ছে- মানুষের সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থা পরিত্যাগ করে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত জাহিলি সমাজের বিপরীতে ঈমানদারগণের সমাজ গঠন আন্দোলন। ইসলাহী সমাজ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদশিও পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে, সকল মানুষের সকল অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ হবে, সকলে শান্তিপূর্ণভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে পারবে, মানুষে মানুষে সংঘাত ও সংঘর্ষসহ মানবতা বিরোধী সকল অপরাধ বন্ধ হবে এবং তাদের জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি ইসলামী সমাজে শামিল হওয়ার আহবান জানান।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ইসলাহী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বক্তব্য রাখেন ইয়াসমিন, সুলাইমান কবির ইউসুফ মোল্লা।এ ছাড়া শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী সমাজ এর বিভাগীয় দায়িত্বশীলগণ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল ও কর্মীগন। দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।