নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ ২৯ মে ২০২৪ইং রোজ বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে নিকাহ নামার ৫নং কলামের কুমারী শব্দটি তুলে দেয়া হবে এর প্রতিবাদে এবং কুমারী বাণিজ্যকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রখেন বাংলাদেশ মেস সংঘের মহাসচিব আয়াতুল্লাহ আকতার। আরো বক্তব্য রাখেন বিএমআরএফ এর ঢাকা জেলার জয়েন সেক্রেটারী মোঃ লিটন গাজী, সংগঠনের মিডিয়া মুখপাত্র নজরুল ইসলাম দয়া, মোঃ আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে। উক্ত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন অত্র সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম।
সংগঠনের চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের পুরুষরা আজ ঘরে-বাহিরে সব জায়গায় ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে। আজকের মানববন্ধনে উপস্থিত ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন বিবাহ করেন। তার স্ত্রী নিকাহ্ নামায় কুমারী শব্দটি ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ইতিপূর্বে তার ৪টি বিবাহ হয়েছিল এবং সন্তানও আছে। এদেশে অহরহ এরকম ঘটনা ঘটছে। দুশ্চরিত্রের মেয়েরা কুমারী সেজে পুরুষদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ঐসব নারীদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দিয়ে লাভবান হওয়া যায় না, কারণ তারা নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে ভুক্তভোগী পুরুষকে হাজতে পাঠিয়ে দেন। নারী নির্যাতন মামলায় আপোষ ছাড়া জামিন হয় না। কাজেই বাধ্য হয়েই টাকা-পয়সা দিয়ে ঐসব দুশ্চরিত্র নারীদের সাথে আপোষ করতে হয়। আমি একজন আইনের ছাত্র এবং পুরুষ অধিকার কর্মী হিসেবে মনে করি কুমারী বাণিজ্যকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হলে অসহায় পুরুষগুলো রক্ষা পাবে। ইদানিং সোনা যাচ্ছে নিকাহ নামার ৫নং কলাম থেকে কুমারী শব্দটি বাদ দেয়া হবে। এটি করা হলে কুমারী বাণিজ্যকারীরা আরো উৎসাহিত হবে। বর্তমানে ধর্ষণ মামলাকে অনেকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। জায়গা জমির বিরোধের কারণে শেরপুর জেলার একটি মসজিদের মোয়াজ্জেম হাজতে রয়েছে। অপরাধীর শাস্তি হোক তা আমরাও চাই কিন্তু কোন নিরাপরাধ মানুষ যাতে বিনা অপরাধে হাজতে না থাকে।
ভুক্তভোগী হেলাল উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, ধর্ষিতা মেয়েকে বিয়ে করে ভয়ংকর প্রতারণার ফাঁদে পড়েছি। আমি হেলাল উদ্দিন, পিতা মৃত শেখ সামছুদ্দীন, সাং মধুরচর, পোস্ট মেঘুলা থানা, দোহার, ঢাকা। আমি আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি এক বুক কষ্ট নিয়ে, সেটা হচ্ছে বিগত ২৬/০৭/২০২৩ইং তারিখে আমি আমার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেই এই যে, ধর্ষিতা একটি মেয়ে খুঁজছি অন্য অন্য সাইটগুলো পছন্দ হলে বিয়ে করতে রাজি আছি। অতপর আমার শাশুড়ি শাহনাজ বেগম আমার বাড়িতে ঘটক পাঠিয়ে কৌশলে আমাকে তাদের বাড়িতে এনে তার মেয়েকে দেখিয়ে বলেন আমার মেয়েটা ধর্ষিত, নির্যাতিত শুধু তাই নয় আমার মেয়ের মাথার চুল গুলো কেটে দিয়েছে ঐ ধর্ষক ছেলে, তখন তার মাথার চুল এক বিগত ছোট ছিল। ইচ্ছে করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে তাকে জেল খাটাতে পারতাম শুধু মাত্র ইজ্জতের ভয়ে থেমে গেছি চুপ হয়ে আছি, আমি মনে মনে বলি যে রকম খুঁজতাছি ঠিক ঐ রকমই পেয়ে গেছি আলহামদুলিল্লাহ। এখানেই শেষ নয় আরও বললেন আমার মেয়েটাকে এখন কে বিয়ে করবে, মেয়ে নিয়ে খুবই চিন্তিত, এদিকে মেয়ের চাচারা, নানা নানী ও দাদী খুবই বেশী প্রশংসা করলেন। বললেন আমাদের ভাতিজি+নাতি এতো, এতো এতোই ভালো যে এই বাড়ির থেকে বের হয় না। ও কখনোই আমাদের কথা অভারটেক করে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। অতপর বিগত ২২/০৯/২০২৩ইং তারিখে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিয়ে পরবর্তীতে তখনই জানতে পারি যে ঐ ছেলে ধর্ষক নয় সে তার স্বামী ছিল ঐ স্বামই তার মাথার চুল গুলো কেটে দিয়েছে এবং ঐ ঘরে তার একটি সাত মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে। অতপর বউ বাচ্চা নিয়ে বাড়িতে চলে গেলাম। বিবাহের আড়াই তিন মাসের মধ্যে আমার শাশুড়ি তার বিশেষ প্রয়োজন দেখিয়ে আমার থেকে ক্যাশ বিকাশ ও তার নিজ ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ১৫ লাখ টাকা কর্জ নেয়।