নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৪ই আগস্ট এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৪০সালের ২৩শে মার্চ শের এ বাংলা এ.কে ফজলুল হকের উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাবের দ্বি-জাতী তত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭সালের এই দিনে ১৯০বছরের ব্রিটিশ উপনিবেশ শাসন থেকে মুক্তি লাভ করে বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে মুসলমানদের আলাদা আবাসভূমি পাকিস্তানের।
কংগ্রেসের নেতৃত্বে মহাত্মা গান্ধী, জহরলাল নেহেরু, মাওলানা আবুল কালাম আজাদের মত বলিষ্ঠ নেতৃবৃন্দের ভারত বিভক্তি ঠেকানোর আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও মুসলিম লীগের নেতৃত্বে ও মোহাম্মদ আলী জিন্নার দৃঢ়তায় এবং মুসলমানদের জিন্নাহর নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা, ব্রাহ্মণ্যবাদী শোষকদের জুলুম-শোষণ থেকে নিস্তার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, সর্বোপরি মুসলমান ও নিম্ন বর্ণের শোষিত হিন্দু শ্রেণীর ঐক্য আজাদি আন্দোলনে আমাদেরকে কামিয়াব করেছিল। আজাদি আন্দোলন ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন পূর্ব বাংলার তথা বাংলাদেশের মুসলমানদের ভূমিকা ছিল অভাবনীয়। ফলাফল হিসাবে ভারতের একদিন আগে ভারত বিভক্ত করে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৭১সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান বিভক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ১৪ই আগস্ট আমাদেরও স্বাধীনতা দিবস ছিল। পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এক অসম্ভব বিষয় ছিল। তাই ১৪আগস্টের গুরুত্ব বাংলাদেশী জাতির জন্য অপরিসীম। অথচ ভারতের এদেশীয় এজেন্টরা বিশেষ করে আওয়ামী লীগ, প্রভু ভারতকে খুশী করার জন্য তাদের ক্ষমতাসীন সময়ে ১৪ই আগস্ট পালন ও সংশ্লিষ্ট ইতিহাস চর্চাকে রীতিমত নিষিদ্ধ করে রেখেছিল।
ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব জুলাই-২৪ গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করায় এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটেছে, জনগণ শ্বাসরুদ্ধ অবস্থা থেকে বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। ১৪ই আগস্টের গৌরবময় ইতিহাস স্মরণ করে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের আজ এক বিবৃতিতে উপরোক্ত কথা বলেন। বিবৃতিতে তিনি বাংলাদেশের বুনিয়াদী স্বাধীনতা দিবস হিসাবে ১৪ই আগস্টকে রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের জোর দাবী জানিয়ে বলেন, জাতিকে বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে ইতিহাস শিকড়ের সাথে সম্পৃক্ত রাখতে এই গৌরবময় ইতিহাস চর্চা অপরিহার্য।
বাংলাদেশের জনগণ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের পক্ষ থেকে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ পাকিস্তানের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি ১৪ই আগস্টকে বুনিয়াদী স্বাধীনতা দিবস হিসাবে মর্যাদার সাথে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।