নিজস্ব প্রতিনিধিঃ “পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বন্ধ কর! জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বরদাস্ত করবো না!” এই শ্লোগানে ও সাজেক মাচালংয়ে জেএসএস (সন্তু) সশস্ত্র দুর্বৃত্ত কর্তৃক দুই ইউপিডিএফ কর্মী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও বিপুলসহ ৪ চার-যুব নেতা হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খাগড়াছড়ি জেলায় ছাত্র ধর্মঘটের সমর্থনে পানছড়িতে বিশাল প্রচারণা মিছিল করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পানছড়ি উপজেলা শাখা।
আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় লোগাং ইউনিয়নে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি আমতলী এলাকা থেকে শুরু হয়ে লোগাং বাজার ঘুরে লোগাং ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক সমর চাকমা, পানছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি সুনীলময় চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বরুণ চাকমা। এছাড়া সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন পানছড়ি ছাত্রসমাজের পক্ষে জিনিম চাকমা ও অন্তর চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিপুল চাকমাসহ ৪ নেতা হত্যাকান্ডের দুই মাস হয়ে গেলেও ঠ্যাঙাড়ে খুনীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় পানছড়ি বাজার এলাকা এবং খাগড়াছড়ির দেওয়ানপাড়া ও টেটুলতলা এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেনাবাহিনীর একাংশ এসব হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ দিচ্ছে। তাই প্রশাসন তাদের কাউকে গ্রেফতার করছে না।
বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলে এসব হত্যাকান্ড সংগঠিত হচ্ছে অভিযোগ করে বক্তারা আরও বলেন, বিপুল চাকমাদের হত্যার পর সেনাসৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে খুনীরা মহালছড়িতে ২ জন ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যা করে। এছাড়া শসস্ত্র অবস্থায় সেনা ক্যাম্পের সামনে দিয়ে গিয়ে রাঙামাটির সাজেকে আরও ২ জন ইউপিডিএফ সদস্যকে হত্যা করেছে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র ক্যাডাররা। এসব হত্যাকান্ডে কাউকে গ্রেফতার করেনি প্রশাসন।
সেনাবাহিনী তাদের মদদপুষ্ঠ ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়া বন্ধ করলে পাহাড়ে এমনিতে শান্তি ফিরে আসবে। তাই ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙ্গে দেয়ার দাবিতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি জেলায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ধর্মঘট সফলভাবে পালন করার জন্য ছাত্র সমাজের প্রতি বক্তারা আহ্বান জানান।