নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জুলাই আন্দোলনের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণে ৬টি মানি এক্সচেঞ্জ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে মানি চেঞ্জার্স এসোসিয়েশন।৬ মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ৫ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ,ডলারের রেট নিয়ন্ত্রণে ৭ অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ
২৪ জুন মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ জানায়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনে মাহসচিব প্রকৌশলী গৌতম দে।
লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সংগঠনটির সভাপতি এম এস জামান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। তারা নিজের টাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে আজ ভীত সন্ত্রস্ত এ অবস্থায় ব্যবসা পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। মিরপুর মানি এক্সচেঞ্জের ছিনতাই ঘটনার পরিস্থিতিতে ৬ ছিনতাইকারীকে পুলিশ ধরতে পারলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এছাড়া, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭টি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ বেআইনিভাবে ডলারের রেট নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হলেও তার থেকে কোনো প্রতিকার মেলেনি।গত মাসের ২৭ তারিখে মিরপুরের মাহমুদ ফরেন এক্সচেঞ্জ নামের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ছিনতাই করা হয়েছে বলে জানান এক ভোক্তভোগী।
এম এস জামান বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা সেন্ট্রাল ব্যাংকে চিঠি দিয়েছি, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, আমরা সরকারের প্রত্যকটা জায়গায় জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কোনো প্রতিকার পাইনি।’
জুলাই আন্দোলনের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণে ৬টি মানি এক্সচেঞ্জ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে মানি চেঞ্জার্স এসোসিয়েশন। সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,অর্থ উপদেষ্টা,বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর সহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সুদৃষ্টি প্রার্থনা করেন।