নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের সকল অধিকার আদায় ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনার জন্য কল্যাণকর নীতিমালাই রাজনীতি। রাজনীতি সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকান্ড ও বিষয়কে রাজনৈতিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতা হলো ক্ষমতাসীনদের আত্মকেন্দ্রিক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য জনগণের উপর অনৈতিকভাবে ইচ্ছাকৃত ক্ষমতা ও বল প্রয়োগ করা এবং তাদেরকে মৌলিক চাহিদা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার ষড়যন্ত্র করা। কোন দেশের ক্ষমতাসীনরা অন্য দেশের উপর আক্রমণ করে সে দেশের মানুষের অধিকার হরণ ও তাদের উপর নির্যাতন করার মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা এবং দেশের ভিতর থেকে কোন একটি গোষ্ঠির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করা ইত্যাদিকে রাজনৈতিক সহিংসতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রেই বর্তমানে রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতার মূল কারণ হলো মানুষের সার্বভৌমত্ব এবং মানব রচিত ব্যবস্থা। তিনি আরও বলেন, মানুষ যখন তাদের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকেই সার্বভৌমত্বের মালিক, আইনদাতা-বিধানদাতা ও শাসনকর্তা গ্রহণ করে বা মেনে নেয় তখন তারা মূলতঃ দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী হয়ে মানবতা বিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়। মানুষের সার্বভৌমত্ব ও মানব রচিত ব্যবস্থা রাজনীতি নয়! বরং চরম দুর্নীতি একথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ই মূলতঃ রাজনীতি। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে রাজনীতির নামে দুর্নীতি প্রতিষ্ঠিত থাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম সহিংসতা চলছে, যার কারণে বিশ্বের মানুষ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখী অবস্থান করছে।
‘ইসলামী সমাজ’ ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চল-২ এর দায়িত্বশীল, জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিন এর সঞ্চালনায় আজ ০৬ ফেব্রæয়ারী ২০২৪ইং (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “রাজনৈতিক সহিংসতার কারণ এবং এ থেকে উত্তরণের উপায়” বিষয়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষ আজ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে আছে। সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা ইসলামের আইন-বিধান তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠাই রাজনৈতিক সহিংসতা সহ সকল প্রকার মানবতা বিরোধী অপরাধমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের একমাত্র উপায়। এ লক্ষ্যেই ইসলামী সমাজ সকল মানুষের কল্যাণে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দল-মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালনের আহবান জানান এবং রাজনৈতিক সহিংসতা, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিময় সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে মানুষের জীবনে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় শান্তিপূর্ণ ৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন- (১) দুর্নীতি ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ: ০২ মার্চ ২০২৪ (শনিবার), বিকাল ৩ ঘটিকায়- বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এর উত্তর গেইট এবং ০৩ মার্চ (রবিবার), বিকাল ৩ ঘটিকায়- মিরপুর ১নং সেকশন, চিড়িয়াখানা রোড, ঈদগাহ মাঠ। (২) দেশব্যাপী গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পথসভা এবং (৩) দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৮টি সদস্য ও সূধী সম্মেলন: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং (বৃহস্পতিবার)- ময়মনসিহং। ১৬ ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার)- চট্টগ্রাম মহানগর। ১৭ ফেব্রুয়ারী (শনিবার)- কিশোরগঞ্জ। ২১ ফেব্রুয়ারী (বুধবার)- গাজীপুর। ২২ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার)- বগুড়া। ২৩ ফেব্রুয়ারী (শুক্রবার)- কুষ্টিয়া। ২৪ ফেব্রুয়ারী (শনিবার)- আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা। ২৭ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার)- টঙ্গী।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন- ‘ইসলামী সমাজ’ চট্টগ্রাম বিভাগীয় অঞ্চল-১ এর দায়িত্বশীল, জনাব মোঃ আজমুল হক ও খুলনা বিভাগীয় অঞ্চল-২ এর দায়িত্বশীল, জনাব আসাদুজ্জামান বুলবুল।
ReplyForwardAdd reaction |