মঞ্জুর: ৩৪তম বিসিএসে কোটাব্যবস্থার কারণে সংরক্ষণ করে রাখা ৬৭২টি শূন্য পদে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধার ভিত্তিতে নির্বাহী আদেশে নিয়োগের সুপারিশের দাবি জানিয়েছে ৩৪তম বিসিএস ক্যাডার বঞ্চিত ফোরাম। শনিবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ‘৩৪তম বিসিএস কোটা বৈষম্যের শিকার ক্যাডার বঞ্চিত ফোরামের’ আহ্বায়ক ডা. মো. তফিজুল ইসলাম, সদস্য জামিলুর রহমান ও সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা কোটা বৈষম্যের শিকার। পিএসসির গত ২০১৩ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ সব ধাপে কৃতকার্য ৮ হাজার ৭৬৩ জন প্রার্থী থেকে পিএসসি ২ হাজার ১৫৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে সুপারিশ করে। তাঁরা আরও বলেন, অবশিষ্ট ৬ হাজার ৫৮৪ জন প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পরেও ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়নি। অথচ ৩৫টি ক্যাডার পদে কোটার জন্য ৬৭২টি পদ সংরক্ষণপূর্বক শূন্য রাখা হয়। এই পদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন জানাচ্ছি। তাঁরা জানান, ৩৪তম বিসিএসের আগে ৩৩তম এবং পরের ৩৫তম, ৩৬তম এবং ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে কোনো ধরনের কোটা সংরক্ষণ করা হয়নি এবং কোটার শূন্য পদে উত্তীর্ণ প্রার্থী থেকে মেধা অনুযায়ী পূরণ করা হয়। তাই ৩৪তম বিসিএস ক্যাডারে কোটা সংরক্ষণ করা অত্যন্ত বৈষম্যমূলক। তাঁরা আরও বলেন, ‘গত ২০১৬ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ৩৪তম বিসিএসের প্রাধিকার কোটায় সংরক্ষণ নীতি শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু ৬৭২টি শূন্য পদ ৩৫তম বিসিএস থেকে পূরণের আদেশ দেওয়া হয়, যা বৈষম্যমূলক এবং তৎকালীন সরকারের স্বৈরাচারী চিন্তার সুস্পষ্ট প্রতিফলন। আমরা এই বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছি।’ নির্বাহী আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক আদেশটি বাতিল করার দাবি জানান বঞ্চিতরা। এ সময় তারা নির্বাহী আদেশে ৩৪তম বিসিএসে কোটার জন্য সংরক্ষিত ৬৭২টি শূন্য ক্যাডার পদে বৈষম্যের শিকার উত্তীর্ণ প্রার্থীদের থেকে মেধার ভিত্তিতে সুপারিশ করার দাবি জানান।