মঞ্জুর: নির্বাচনোত্তর সহিংসতার কারণে মোংলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন শতাধিক কর্মী-সমর্থক আহত এবং সহস্রাধিক মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার। তিনি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এলাকার সহিংস পরিস্থিতির অবসানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আজ রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোংলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন, ভোজপাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক টুকু, উজুলকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মণ্ডল, বাঁশখালী ইউপি চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান সোহেল, সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইকরাম ইজারাদার, রামপাল সদর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ নাছির উদ্দিন, বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস, গৌরমম্ভা ইউপি চেয়ারম্যান রাজিব সরদার, সাবেক ইউপি সদস্য জুলহাস ইজারাদার প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় সংসদ সদস্যের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা রক্তের খেলা শুরু করেছে। একের পর এক হামলা চালিয়ে কর্মী-সমর্থকদের রক্তাক্ত জখম করছে, খুন করার হুমকি দিচ্ছে। যে কারণে অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘সর্বশেষ গত ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় প্রায় ৭০ একরের একটি চিংড়ি ঘেরে হামলা চালিয়ে সব মাছ লুট করে নিয়েছে। পরে পুলিশ এলে দুর্বৃত্তরা মাছ নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু সেখানকার লোকজন প্রাণের ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। বরং বিভিন্ন স্থানে হামলাকারীরা মিথ্যা মামলা দিয়ে হামলার শিকার জনগণকে হয়রানি করছে। লিখিত বক্তব্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। মোংলা-রামপালের মানুষ আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী