নিজস্ব প্রতিনিধিঃবাংলাদেশে হারানো গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম—এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আন্দোলন—সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি—জাগপা’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান
আজ ৩০শে মে ২০২৪ জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি—জাগপা ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। এর আগে সকালে জাগপা’র পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
আলোচনা সভায় জাগপা’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, ১৯৮১ সালের এই দিনে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের। তিনি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে দেয়া হয় বীরউত্তম খেতাব। পঁচাত্তরের ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার দৃশ্যপটে আবির্ভূত হন জিয়াউর রহমান। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন ১৯৭৭ সালে। ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বরে গঠন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি। বাকশালের কারণে হারিয়ে যাওয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র তিনি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়ে মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলেই তিনি দেশে ঘটান কৃষি বিপ্লব। এর বাইরে গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ, জনশক্তি রপ্তানি, নতুন নতুন কলকারখানা স্থাপনসহ স্বনির্ভরতা অর্জনে জিয়াউর রহমানের উদ্যোগ ব্যাপক সাড়া জাগায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদেরকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আজ জিয়াউর রহমানের মতো রাষ্ট্রপ্রধান থাকলে মিয়ানমার আমাদেরকে রক্তচক্ষু প্রদর্শনের সাহস পেত না, সীমান্তে ভারতের বিএসএফ পাখির মতো নিরপরাধ বাংলাদেশীদের গুলি করে মারার সাহস পেত না।
খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সেই সময় বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সেই সুযোগের অপব্যবহার করে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছেন।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি—জাগপা ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি মোঃ হোসেন মোবারকের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জাগপা’র সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, সাইফুল আলম, এ্যাড. আব্দুল ওয়াহাব, আমিনুল ইসলাম বকুল, জাগপা মজদুর পার্টির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব অলক চৌধুরী, জাগপা’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল হোসেন, মহানগর জাগপা’র সাধারণ সম্পাদক এম এ শাহিন, জাগপা নেতা জহুরুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, যুব জাগপা’র সভাপতি আমির হোসেন আমু, যুবনেতা শেখ আকবর হোসেন প্রমুখ।