নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটি (বিএমএসএস) এবং স্ট্যান্ডিং কমিটি অন পাবলিক হেলথ (স্কোফ) জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তি এফসিটিসি এর আর্টিক্যাল-৫.৩ কে সমর্থন জানিয়ে তামাক কোম্পানিকে অসহযোগিতার নীতি গ্রহণ করেছে । আজ ১ লা এপ্রিল (সোমবার) ২০২৪, সকাল ১০ টায় ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট কার্যালয়ের কৈবর্ত সভাকক্ষে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটি (বিএমএসএস), স্ট্যান্ডিং কমিটি অন পাবলিক হেলথ (স্কফ) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে বিএমএসএস এর পক্ষে ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর এক্সটারনাল এফিয়ার্স ইফতেখার আহমেদ সাকিব “কোড অব কনডাক্ট”টি স্বাক্ষর করেন । উল্লেখ্য বর্তমানে বিএমএসএস এর সারাদেশের ৮০টি মেডিকেল কলেজে ১৫ হাজারের অধিক সক্রিয় সদস্য রয়েছে ।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আলাউদ্দিন চৌধুরী। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীবের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান। আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন বিএমএসএস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর এক্সটারনাল এফেয়ার্স ইফতেখার আহমেদ সাকিব এবং সেক্রেটারি জেনারেল সিরাজুম মনিরা।
বিএমএসএস এর কার্যাবলী বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল পাবলিক হেলথ অফিসার মুন্তাজিমা তাওয়াদ্দুদ, উন্মুক্ত আলোচনায় অংশনেন কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্স ডেভলপমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা শামীমা সুলতানা এবং বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটির শিক্ষার্থীবৃন্দ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের নেটওয়ার্ক সংগঠন এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এফসিটিসি আর্টিক্যাল ৫.৩ তামাক কোম্পানির বাণিজ্যিক ও অন্যান্য স্বার্থ থেকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিগুলো সুক্ষায় শক্তিশালী হাতিয়ার। এফসিটিসি স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে এর অন্যতম আর্টিক্যাল ৫.৩-র নির্দেশনা বাস্তবায়ন সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। তামাক কোম্পানির সাথে আলোচনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের বিষয়ে এখানে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তামাক কোম্পানিগুলোর মূল টার্গেট দেশের ভবিষ্যৎ তরুন প্রজন্ম। মুনাফালোভী তামাক কোম্পানির আগ্রাসন থেকে এদের মুক্ত রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। বক্তারা আরো বলেন, অনেকেই তামাকের আগ্রাসন থেকে মুক্ত হতে চান কিন্ত আমাদের দেশে ধূমপান ত্যাগে সহায়ক ব্যবস্থা দূর্বল। ধূমপান ত্যাগে সহায়ক উপকরণ দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদন এবং সহজলভ্য করা প্রয়োজন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ক্ষতি বিবেচনায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধ এবং ধূমপানে জন্য নির্দিষ্ট এলাকা না রাখার বিধান যুক্ত করে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধন করা প্রয়োজন। ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকেও আইন এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। স্বাক্ষরিত নীতিতে বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস্ সোসাইটি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে, তাদের কোন অনুষ্ঠানে তামাক কোম্পানি সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করবে না, কোন সহযোগিতা বা উপহার গ্রহণ এবং প্রদান করবে না, এফসিটিসি এর ৫.৩ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান, উপকরণ ও প্রকাশনা সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ।