নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পরিবেশ বিনষ্টকারী তামাককে লাল শ্রেনী থেকে হঠাৎ করেই কমলা শ্রেণীতে অন্তর্ভূক্ত করায় পরিবেশবিদ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উদ্বিঘ্ন। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা -২০২৩ অনুসারে তামাক কোম্পানিকে পুনরায় লাল তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আজ ১ লা এপ্রিল (সোমবার) ২০৪০, সকাল ১১ টায় আবাহনী খেলার মাঠের সামনে একটি অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটি (বিএমএসএস), স্কফ এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত “পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা -২০২৩ তামাককে লাল শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হোক” শীর্ষক এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আলাউদ্দিন চৌধুরী। বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটি (বিএমএসএস) এর পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেন ন্যাশনাল পাবলিক হেলথ অফিসার মুন্তাজিমা তাওয়াদ্দুদ, সেক্রেটারি জেনারেল সিরাজুম মনিরা, ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর এক্সটারনাল এফেয়ার্স বিভাগের ইফতেখার আহমেদ সাকিব এবং বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটির আরও ৩০ জন শিক্ষার্থী । এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটভুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ ।
কর্মসূচিতে উপস্থিত বক্তারা বলেন, পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতির ব্যাপকতা বিবেচনায় নিয়ে ১৯৯৭ সালের “পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা” এর তফসিল-১ এর লাল শ্রেনীর ৫৩ নম্বরে তামাককে লাল তালিকাভূক্ত করা হয়। কারণ এই কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি করে। তামাক উৎপাদন ও ব্যবহার পরিবেশের উপর যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা শুধু মানব স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয় বরং সমগ্র প্রাণীকুলের স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতিকেও স্থায়ী ঝুকিঁর মধ্যে ফেলছে। এমন একটি ক্ষতিকর পণ্য নিয়ন্ত্রণে সারা পৃথিবীতে যখন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) প্রণয়নের পাশাপাশি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ঠিক তখনই ঢাকা শহরের মহাখালীর মতো জনবহুল ও আবাসিক এলাকায় তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতের কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। যা ঢাকা শহরের বাতাসকে দূষিত করে বসবাসের জন্য অনুপোযোগী করে তুলছে। সার্বিক বিষয়াবলী বিবেচনায় নিয়ে কর্মসূচিতে উপস্থিত বক্তারা তামাককে পুনরায় লাল তালিকাভূক্ত করার জোর দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন সরকারের নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে কোম্পানির হস্তক্ষেপের ফলেই তামাককে কমলা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণে সহায়ক নীতিগুলো কোম্পানীর হস্তক্ষেপমুক্ত রাখা জরুরি। পরিশেষে উক্ত কর্মসূচি থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণে অনতিবিলম্বে কোম্পানি থেকে সরকারের বিদ্যমান শেয়ার প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।