ADVERTISEMENT
  • About
  • Advertise
  • Privacy & Policy
  • Contact
Ruposhi Bangla 71 | Online news update in Every Minutes
  • হোম
  • সম্পাদকীয়
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারা বাংলা
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • সংখ্যালঘু ডেক্স
    • আইন-আদালত
    • শিক্ষা-সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
No Result
View All Result
  • হোম
  • সম্পাদকীয়
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারা বাংলা
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • সংখ্যালঘু ডেক্স
    • আইন-আদালত
    • শিক্ষা-সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
No Result
View All Result
Ruposhi Bangla 71 | Online news update in Every Minutes
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

মেহনতি মানুষের মুক্তির দিশারী মওলানা ভাসানী

admin by admin
November 15, 2025
in Uncategorized
0
মেহনতি মানুষের মুক্তির দিশারী মওলানা ভাসানী
ADVERTISEMENT

RelatedPosts

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রল ঢেলে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

ময়মনসিংহে শ্বশুরবাড়িতে জামাতা-নাতি খুন

ভয়াল ১২ নভেম্বর, আজও আৎকে ওঠেন উপকূলের মানুষ

নিজস্ব প্রতিনিধি :মিতা রহমান।। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আফ্রো-এশিয়া-ল্যাতিন আমিরিকার মানুষের কাছে “মজলুম জননেতা” হিসাবে পরিচিত। তিনি ছিলেন বিংশশতকী ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক। বেশ কিছু সাধারণ ও স্থানীয় নির্বাচনে জয়ীও হয়েছিলেন, তবে কখনও ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেন নি। তাঁর নেতৃত্বের ভিত্তি ছিল কৃষক শ্রমিক জনসাধারণ, যাদের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে গেছেন। ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া পল্লীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা হাজী শারাফত আলী। হাজী শারাফত আলী ও বেগম শারাফত আলীর একটি মেয়ে ও তিনটি ছেলের সবার ছোট মোঃ আব্দুল হামিদ খান। ছেলে-মেয়ে বেশ ছোট থাকা অবস্থায় হাজী শারাফত আলী মারা যান। তাঁর ডাক নাম ছিল চেগা মিয়া। পিতৃহীন হামিদ প্রথমে কিছুদিন চাচা ইব্রাহিমের আশ্রয়ে থাকেন। ওই সময় ইরাকের এক আলেম ও ধর্ম প্রচারক নাসির উদ্দীন বোগদাদী সিরাজগঞ্জে আসেন। হামিদ তাঁর আশ্রয়ে কিছুদিন কাটান। মওলানা ভাসানী কর্মজীবন শুরু করেন টাঙ্গাইলের কাগমারিতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে। পরে তিনি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট এলাকার কালা গ্রামে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।

১৯১৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধী অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়।কংগ্রেসে যোগদান করে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে দশ মাস কারাদণ্ড ভোগ করেন। ১৯২৫ সালে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার জমিদার শামসুদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর মেয়ে আলেমা খাতুনকে বিবাহ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিয়ে করেন হামিদা খানম ভাসানী কে (পীর মা হিসেবে ভুরুঙ্গামারীতে খ্যাত) কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামে (বর্তমানে এই গ্রামটি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ভাসানী নগর হিসেবে) এটি সীমান্ত ঘেষা একটি অজপাড়াগাঁ।

১৯২৬ সালে তিনি তার সহধর্মিণী আলেমা খাতুনকে নিয়ে আসাম গমন করেন এবং আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সুত্রপাত ঘটান। ১৯২৯-এ আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন। এখান থেকে তার নাম রাখা হয় “ভাসানীর মাওলানা”। এরপর থেকে তার নামের শেষে “ভাসানী” শব্দ যুক্ত হয়।

কৃষক আন্দোলনের নেতা হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু। তিনি সবসময় রাজনীতি করেছেন কৃষক-শ্রমিক, মেহনতি মানুষের তথা অধিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য। তাঁর নেতৃত্বের ভিত্তি ছিল কৃষক শ্রমিক জনসাধারণ, যাদের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে গেছেন। এদেশের নির্যাতিত-নিপীড়িত, মেহনতি মানুষের মুক্তির দিশারী ছিলেন মওলানা ভাসানী।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বিশ্বাস করতেন যে সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে অশিক্ষিত রেখে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি নারী শিক্ষার একজন দৃঢ় সমর্থক ছিলেন এবং নারীর অধিকার রক্ষায় সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন। তিনি নারী শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন এবং মেয়েদের জন্য স্কুল ও শিশু কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন।মওলানা ভাসানী ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক এবং তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশাপাশি নারীদের অধিকার নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করতেন। তার রাজনৈতিক দর্শনে শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম ছিল প্রধান, যার মধ্যে নারীরাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ADVERTISEMENT

মওলানা ভাসানী ইসলামের মানবিক শিক্ষা এবং আধুনিক সমাজতন্ত্রের সমন্বয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের কথা ভাবতেন, যেখানে সব মানুষের, বিশেষ করে মজলুম ও অধিকারবঞ্চিতদের মুক্তি নিশ্চিত হবে। সামগ্রিকভাবে, মওলানা ভাসানী মনে করতেন যে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষের রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠা জরুরি এবং এই লক্ষ্য অর্জনে তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।

মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর কথা আজ আমরা ভুলেই গেছি প্রায়। ১৭ নভেম্বর দেশের রাজনীতি ও গণ-মানুষের মুক্তির আন্দোলনের এই পথিকৃৎ-এর মৃতু্যবার্ষিকী। ১৮৮০ সালের এইদিনে সিরাজগঞ্জ জেলার ধনপাড়া গ্রামে ভাসানী জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন হাজী শরাফত আলী খান।

সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা ভাসানী তাঁর জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তার কৈশোর- যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মাওলানা ভাসানী ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম মাওলানা ভাসানী।

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি। তাঁর জীবন ছিল গ্রাম ভিত্তিক, মতবাদ উগ্র এবং ঔপনিবেশিক রীতিনীতির প্রতি আস্থাহীন। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকদের অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। মওলানা ভাসানী ছিলেন মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ছিল তার আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা। তাঁর দীর্ঘ কর্মময় জীবনে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সমাজ-রাষ্ট্রে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নিরলসভাবে করে গেছেন।

তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে আজীবন শোষিতের পক্ষ নিয়ে শোষকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন এবং নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আপোষহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই সংগ্রাম ছিল একটি সামগ্রিক অর্থে, যেখানে নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে সকল শোষিত মানুষের অধিকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভাসানী তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাজনীতিকে শুধু নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং গ্রামের সাধারণ, দরিদ্র মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তাদের সংগঠিত করেছেন। এর ফলে নারীরাও তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে এবং সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত হয়েছেন।

তিনি কৃষক-শ্রমিক-জনসাধারণের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করেছেন এবং পূর্ব পাকিস্তান কৃষক সমিতি গঠনে সহায়তা করেছেন। নারীরা এই জনগোষ্ঠীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়ায়, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়ও তার ভূমিকা ছিল। তিনি যে রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, তাতে নারীরাও অংশগ্রহণ করেছেন এবং তাদেরও অধিকারের কথা বলেছেন, যা নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি পরোক্ষ ভিত্তি তৈরি করেছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি যিনি অপরিসীম অবদান রেখেছিলেন তিনি হলেন মওলানা ভাসানী। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে থাকার কারণে ও সরাসরি অংশগ্রহণের জন্য তাঁর মতো একজন মওলানাকে ‘কাফের’ উপাধি দিয়ে বাড়ি পুড়ে দিয়েছিল পাক বাহিনী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মওলানা ভাসানী ভারতে চলে যান। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি ঢাকায় ফিরে তিনি সর্বপ্রথম যে দাবিটি তোলেন তা হলো বাংলাদেশ ভূ-খণ্ড থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপসারণ।

দেশ ও জনগণের জন্য নিবেদিত প্রাণ মরহুম আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর বলিষ্ঠ এবং সাহসী ভূমিকা আমাদের চিরদিন শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভশীল দেশ-সমাজ বিনির্মাণে প্রেরণা ও উৎসাহ যোগাবে। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর প্রদর্শিত পথ ধরে চলতে পারলেই বহুদলীয় গণতন্ত্রের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোন কঠিন বাধাই আমাদের পথ আগলাতে সক্ষম হবে না। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে সব স্বৈরশাসকের অপশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা ও দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক মজলুম জননেতা মরহুম মওলানা ভাসানীর অবদান নিঃসন্দেহে স্মরণীয়।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি আজীবন শোষিতের পক্ষ নিয়ে শোষকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন অক্লান্তভাবে। তিনি নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সব সময় থেকেছেন আপোষহীন নেতৃত্বের ভূমিকায়। মওলানা ভাসানীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিবেদিত হওয়া এখন সময়ের দাবী।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সর্বদলীয় চরিত্র দেয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে আট সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হয় যার সভাপতি ছিলেন মওলানা ভাসানী। ওই উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন – ১) তাজউদ্দীন আহমদ, ২) মণি সিংহ, ৩) অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ, ৪) মনোরঞ্জন ধর প্রমুখ। মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে ওই উপদেষ্টা কমিটির সভায় এই মর্মে অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, পূর্ববঙ্গের পূর্ণ স্বাধীনতা ব্যতিরেক অন্য কোন প্রকার রাজনৈতিক সমাধান গ্রহণযোগ্য হবে না। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মওলানা ভাসানী কলকাতা ছাড়াও দেরাদুন, দিল্লী ও অন্যান্য স্থানে অবস্থান করেন। পরবর্তীকালে অনেকে অভিযোগ করেন যে ভারতে থাকাকালীন তিনি নজরবন্দি অবস্থায় ছিলেন। ভারতে অবস্থানকালে মওলানা ভাসানী দুইবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাকে দিল্লী অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে ভর্তি করা হয়েছিল।

মাওলানা ভাসানী ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭২-এর ২৫ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক হক-কথা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীচুক্তির বিরোধিতা করলেও মুজিব সরকারের জাতীয়করণ নীতি এবং ১৯৭২-এর সংবিধানের এর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। ১৯৭৩ সালে খাদ্যের দাবিতে ঢাকায় ১৫-২২ মে অনশন ধর্মঘট পালন করেন। ১৯৭৪-এর ৮ এপ্রিল হুকুমতে রাব্বানিয়া সমিতি গঠন করেন। একই বছর জুন মাসে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করলে টাঙ্গাইলের সন্তোষে গৃহবন্দি হন। ১৯৭৬-এর ১৬ মে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ঐতিহাসিক লং মার্চে নেতৃত্ব দেন। একই বছর ২ অক্টোবর খোদাই খিদমতগার নামে নতুন আর একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সমাজ সংস্কারমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। জয়পুরহাট-এর পাঁচবিবিতে মহিপুর হাজী মহসীন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন, পরে সেটি জাতীয়করণ করা হয়। আসামে ৩০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কারিগরী শিক্ষা কলেজ, শিশু কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন সন্তোষে। এছাড়াও তিনি কাগমারিতে মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ এবং পঞ্চবিবিতে নজরুল ইসলাম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। সন্তোষে “মউলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” যা কিনা ২০০২ সাথে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে ৩য় স্থান এ আছে। তার প্রকাশিত গ্রন্থ : ১. দেশের সমস্যা ও সমাধান (১৯৬২) ২.মাও সে তুং-এর দেশে (১৯৬৩)।

১৯৭৬ খৃস্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই দেশ বরেণ্য নেতা মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে টাংগাইল জেলার সদর উপজেলার উত্তর-পশ্চিমে সন্তোষ নামক স্থানে পীর শাহজামান দীঘির পাশে সমাধিস্থ করা হয়। সারা দেশ থেকে আগত হাজার হাজার মানুষ তাঁর জানাযায় অংশগ্রহণ করে। মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃতু্যবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

Previous Post

জলবায়ু পরিবর্তন ও জলাশয় দখল – দূষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত করার দাবি

Next Post

জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য বিশ্ব সংগ্রাম দিবস -বাংলাদেশের জনগণের জলবায়ু ও জীবন সংগ্রাম

Next Post
জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য বিশ্ব সংগ্রাম দিবস -বাংলাদেশের জনগণের জলবায়ু ও জীবন সংগ্রাম

জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য বিশ্ব সংগ্রাম দিবস -বাংলাদেশের জনগণের জলবায়ু ও জীবন সংগ্রাম

যোগাযোগ করুন :

ঠিকানা :  ১৫১,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা,বাংলাদেশ।

ফোন : +880 1916568675, 01685973164

ইমেইল :  info@ruposhibangla71.com

 
 
 

আমাদের সম্পর্কে :

সম্পাদক- গৌতম কুমার এদবর, নিবাহী সম্পাদক- মোঃ হারুন আর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক-নাজনীন সুলতানা (স্বপ্না), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- বাপ্পী এদবর

 

 

 

this site Developed by Super Bangla IT

No Result
View All Result
  • হোম
  • সম্পাদকীয়
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারা বাংলা
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • সংখ্যালঘু ডেক্স
    • আইন-আদালত
    • শিক্ষা-সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

© 2024 Ruposhibangla71.com and Website Developed by Super Bangla IT.