নিজস্ব প্রতিনিধি :পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যকলাপ রোধ ও সুস্থতা রক্ষার দাবিতে হবিগঞ্জে এক নাগরিক বন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা ( ধরা), খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ।
আজ ১৫ নভেম্বর (শনিবার) বেলা ১১ টায় স্থানীয় টাউন হল প্রাঙ্গনে হবিগঞ্জের নদী, হাওর, জলাশয় ও বনভূমির উপর থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা ও ন্যায় বিচারের জন্য বিশ্বব্যাপী কর্ম দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত নাগরিক বন্ধনে নানা শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
‘ধরা’ হবিগঞ্জ শাখার সভাপতিমন্ডলীর সভাপতি অধ্যাপক মোঃ ইকরামুল ওয়াদুদ এর সভাপতিত্বে এতে মূল বক্তব্য রাখেন খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল।
বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন, প্রাকৃতজন এর পরিচালক আয়েশা আক্তার, পরিবেশকর্মী আব্দুল হান্নান, তানভীর আহমেদ, সারোয়ার হোসেন, মোঃ শাহিন চৌধুরী, নাট্যকার সিদ্দীকি হারুন, হাসবি সাঈদ চৌধুরী, মহিউদ্দিন রিপন, সাইফুল ইসলাম, অন্তর দাস সৌরভ, নাসরিন আলম, বিলওয়াল হোসেন আরিয়ান প্রমুখ।

বক্তাগণ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন শুধুমাত্র প্রকৃতি- পরিবেশের ক্ষতি করছে না, এটি সার্বিক জীবন ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলে রেখেছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কম দায়ী হলেও ক্ষতির তালিকায় রয়েছে শীর্ষের দিকে।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব , সচেতনতা ও ন্যায্য রূপান্তর এর জন্য সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
হবিগঞ্জ প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, শিল্পবর্জ্য দূষণ, বৃক্ষ কর্তন, নদী -জলাশয়, হাওর, দখল-দূষিত ও ভরাট হচ্ছে, যা পরিবেশ এবং সভ্যতাকে সংকটে ফেলে দিচ্ছে। হবিগঞ্জের পুরাতন খোয়াই নদী, দখলমুক্ত ও সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যমে এর স্বাভাবিক প্রভাব নিশ্চিত, সুতাং নদী, সংশ্লিষ্ট খাল ও কৃষি জমিতে শিল্পবর্জ্য নিক্ষেপ বন্ধ করা, খোয়াই – সুতাং নদী খনন, খোয়াই , কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদী থেকে অপরিকল্পিত বালি উত্তোলন বন্ধ করা, খোয়াইমুখ এলাকায় স্তূপ করে রাখা বর্জ্য অপসারণসহ জেলার নদ-নদী হাওর জলাশয় বনভূমি – টিলাকে প্রাকৃতিক পরিবেশে রাখা এবং এইসব বিনষ্টকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও জলাশয় দখল- দূষণের বিরুদ্ধে সরকার, পরিবেশবাদী সংগঠন, অসচেতন নাগরিকদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয় নাগরিক বন্ধন থেকে।

