সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, সাম্প্রতিক সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ৪নং বারঘরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণে ও রেহাইচর এলাকার উত্তরে মহানন্দা নদীর উপরে (বীর শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহীউদ্দিন জাহাংগীর সেতু থেকে প্রায় ৮০০ ফিট পশ্চীমে) একটি রাবার ড্যাম তৈরী করে নদীর উজানে পানি আটকে দেয়া হচ্ছে; যা নদীটির মৃত্যু ডেকে আনার পাশাপাশি ভাটিতে অবস্থিত প্রায় ৪০,০০০-৫০,০০০ মানুষের সুপেয় পানি ও ফসলের মাঠে সেচের পানি জোগানে ব্যাপক সংকটসহ মৎস্যসম্পদ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মহানন্দা নদী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় পদ্মার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মহানন্দা নদী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় পদ্মার প্রধান উপনদী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত। জেলার মধ্য দিয়ে নদীর প্রবাহিত অংশটির দৈর্ঘ্য ৩৬ কিমি। মহানন্দা নদী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি আন্তসিমান্ত গুরুত্বপূর্ণ নদী। এই নদীর অপমৃত্যু কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
বৃষ্টির পানি এই নদীর পানিপ্রবাহের প্রধান উৎস। ফলে শুকনা মৌসুমে এই নদীর পানি অত্যধিক কমে গেলেও বর্ষা মৌসুমে পানি নদীর দুই কুল ছাপিয়ে বয়ে যায়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিগত কয়েক বছর ধরে সময়মত বর্ষা না হওয়ায় মহানন্দা নদী এমনিতেই তার আসল রুপে ফিরে আসতে পারেনি। তার উপর এই রাবার ড্যাম হয়েছে “মরার উপর খাড়ার ঘা”। ফলে বর্তমানে ড্যামটির পর নদীতে কার্যত আর কোন প্রবাহ না থাকায় নদীর জায়গা দখলের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আমরা অবিলম্বে প্রায় ১০০০-১২০০ ফিট দৈর্ঘ্য এবং প্রায় ২০০-৩০০ ফিট প্রসস্থ এই রাবার ড্যাম ও সংশ্লিষ্ট সকল স্থাপনা অপসারণের পাশাপাশি মহামান্য উচ্চ আদালত নদীকে জীবন্ত স্বত্বা ঘোষণা করার পরও এমন একটি নদী-ধ্বংসাত্মক প্রকল্প যারা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে, তাদের যথাযথ তদিন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবী জানাচ্ছি।