নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর মোল্লাপাড়ায় প্রায় ৫৩ বছর ধরে বসবাসরত মালপাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের ১৬টি পরিবারকে নিজ বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
আজ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমল ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, “সম্প্রতি জমির মালিকানা দাবি স্থানীয় সাজ্জাদ আলী নামে এক ব্যক্তি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়ায় ৫৩ বছর ধরে বসবাসরত মালপাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের ১৬টি পরিবারকে উচ্ছেদে তৎপরতা শুরু করেন। রবিবার মহল্লা ও বাড়ি-ঘর খালি করা হবে, সে উপলক্ষে শুক্রবার খাসি জবাই করে পাহাড়িয়াদের জন্য ভোজেরও আয়োজন করেন তিনি।” গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর এই ঘটনা জানাজানি হলে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, এদেশের শাসক শ্রেণী ও মুনাফা লোভী বণিক শ্রেণী নানা কৌশল অবলম্বন করে পাহাড়-সমতলে বাঙালি ভিন্ন অন্যান্য জাতিগুলোর অস্তিত্ব ধ্বংস করতে চায়। তারা জাতিসত্তাসমূহের ঐতিহ্য ও বংশ পরম্পরায় ভোগ করা ভূমির অধিকারকে অস্বীকার করে এবং তাদেরকে নিজ বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করে। ভূমি বেদখলের উদ্দেশ্যে অতীতে গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লিতে অগ্নিসংযোগ, রাঙ্গামাটির সাজেক, লংগদু, বরকল, কাউখালি ও খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাঙা ইত্যাদি বহু জায়গায় পাহাড়িদের বসতবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
“সাম্প্রতিক শেরপুরে গারোদের জমি দখলের ষড়যন্ত্র ও সিলেটে খাসিয়াদের পানজুম কর্তন ও উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র দেশের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাগুলোর ভূমি বেদখল হওয়ার সমস্যার গভীরতাকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।”
নেতৃদ্বয়, অবিলম্বে মালপাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের নিরাপত্তা বিধানসহ তাদেরকে নিজেদের ভূমি ও বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করা, উচ্ছেদ পরিকল্পনাকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পাহাড়িদের প্রথাগত ভূমি অধিকার নিশ্চিতসহ সমতলের জাতিসত্তাসূহের জন্য পৃথক ভুমি কমিশন গঠনের দাবি জানান।

