রুপসীবাংলা ৭১ঃ জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান জননেতা মিজানুর রহমান মিজু বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ব্যাপক ও তাৎপর্যপূর্ণ। বলা যায়, এটি ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত। ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ একটি অপরটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তিনি আরো বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান জন্মের আগেই প্রস্তাবিত পাকিস্তানের শাসকদের স্বরূপ উন্মোচিত হতে থাকে এবং একই সঙ্গে এ অঞ্চলের তখনকার যুবসমাজ নিজেদের অধিকার রক্ষার চিন্তা করতে শুরু করে। বাঙালির সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার এবং একসঙ্গে সেই অধিকার আদায়ের চিন্তাগুলোও যুক্ত ছিল। কিন্তু পরিতাপের বিষয় ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছর চলছে। ভাষা আন্দোলনের উল্লেখিত লক্ষ্যগুলো আজো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এমনকি দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা কিংবা বাংলা সন—তারিখ প্রচলন করা সম্ভব হচ্ছে না।
মিজানুর রহমান মিজু বলেন, বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে চলেছে। ২০২৪ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নতুন উন্নত—স্বনির্ভর এক বাংলাদেশকে দেখতে পাচ্ছে। ঠিক তখন ৫২’র প্রেতাত্মারা আবারো জেগে উঠেছে। তারা এখনো ষড়যন্ত্র করে চলেছে কিভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা যায়। তাদের সেই বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। গড়ে তুলতে হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।
অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাষা শহীদদের স্মরণে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও সমাবেশে মিজানুর রহমান মিজু এ কথা বলেন। একুশের প্রথম প্রহরে জাতীয় শহীদ মিনারে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পার্টির চেয়ারম্যান জননেতা মিজানুর রহমান মিজু. প্রেসিডিয়াম সদস্য বাবু উত্তম কুমার চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব শেখ বাদশা উদ্দিন মিন্টু, সি এম মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক প্রমুখ।