রুপসীবাংলা ৭১ঃ ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার, বেলা ২ টায় মতিঝিল ওয়াবদা মসজিদে ভাষা শহীদদের স্বরণে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন জ্ঞাপন করেন। ১৯৫২ একুশে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী গুলি চালায় আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, রফিক উদ্দীন, আবদুস সালাম, শফিউর রহমান ও আরো অজানা অনেকে মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎস্বর্গ করেন। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ১৯৫২ সালে ২২শে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের গাইবী জানাজার ইমামতী করেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তৃনমূল বিএনপির মহাসচিব ড. তৈমুর আলম খন্দকার। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, বঙ্গবন্ধু শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সভাপতি মুশফিকুর রহমান মিন্টু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) সহ-সভাপতি ইঞ্জিঃ এম.এস. এইচ সাইফুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) মহাসচিব হামিদা খাতুন সেলি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ছিলেন গণমানুষের নেতা। ১৯৪৮ সালে মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে পাবলিক লাইব্রেরিতে ভাষা আন্দোলনের প্রথম সূচনা সৃষ্টি হয়। এই আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন মওলানা ভাসানী। মওলানা ভাসানী আমাদের আদর্শ। রাজনীতিতে তাকে অনুস্মরণ ও অনুকরণ করতে হবে। তিনি সকল সময় পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীকে খামোশ উচ্চারিত করতেন। আজকের রাজনীতিতে মওলানা ভাসানীর আদর্শ আমাদের প্রয়োজন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ বলেন, মওলানা ভাসানী আমাদের রাজনীতির গুরু ছিলেন। আমরা তার আদর্শকে অনুস্মরণ করি। তিনি ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে যারা ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে, পাকিস্তানী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উপেক্ষা করে গাইবী জানাজার ইমামতি করেন এবং সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
কাজী মাসুদ আহমেদ বলেন, কৃষক, শ্রমিক মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই করেছেন মওলানা ভাসানী। ১৯৫২’র ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি সকল শহীদদের গায়েবী জানাজার ইমমতি করেন। আমরা সকলেই ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য তার ভূমিকাকে সংগ্রামী অভিনন্দন জানাই।
মুশফিকুর রহমান মিন্টু বলেন মওলানা ভাসানী ছিলেন শাষক ও শোষকের বিরুদ্ধে। তিনি শোষিত মানুষের পক্ষে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং বিশ্বনন্দীত নেত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্বীকৃতির জন্য আমরা এই প্রজন্ম সংগ্রামী অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি।
ইঞ্জিঃ এম.এস. এইচ সাইফুল ইসলাম বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসনীর আদর্শকে আমি আজীবন লালন করবো। এদেশের গণমানুষের মুক্তির জন্য তিনি আজীবন লড়াই করেছেন।
এম এ জলিল বলেন, মওলানা সকল রাজনৈতিক দলের জন্য পুজনীয় ব্যক্তি।
স্বপন কুমার সাহা বলেন, মওলানা ভাসানী ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে ১৯৩৪ সালে লাইনপ্রথা আন্দোলনে বলেছিলেন হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে শাসক এবং শোষকের বিরুদ্ধে। আমরা শোষিত মানুষের পক্ষে, মওলানা ভাসানী।