নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জাতীয় ঐক্য জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও ইসলামী জনকল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মোল্লা সভাপতিতে ও জাতীয় ঐক্য জোটের সমন্বয়কারী মুখপাত্র বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেনের পরিচালনায় জাতীয় ঐক্য জোটের অর্গানাইজিং কমিটির সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সংশয় প্রকাশ করে বলেন, সরকারের ঘোষিত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা সম্ভব নাও হতে পারে। এর প্রধান কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণকে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়ে শপথ নিয়েছেন তা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সংস্কার কমিটি করেছেন কিন্তু দুঃখের বিষয় হল সত্য সেই সংস্কার কার্যক্রম আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার জীবন হুমকির মুখে দাঁড়িয়েছে। সরকার এখনো জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। আগে সকল গণহত্যার বিচার করতে হবে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে, নতুন সংবিধানের জন্য গণভোটের ব্যবস্থা করতে হবে তারপর জাতীয় নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করতে পারবে। অন্যথায় এই মুহূর্তে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব হবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে পুরাতন ওয়েস্টমিনস্টার পদ্ধতি না নতুনভাবে পিআর পদ্ধতিতে হবে সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।
নেতৃবৃন্দ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পি আর পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন ও চলমান সংকট নিরসনে জাতীয় ঐক্য জোটের উদ্যোগে জাতীয় সংলাপের আয়োজনের পরামর্শ দেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ জাতীয় ঐক্য জোটের উদ্যোগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিটির প্রধানগণ দেশের সকল নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক সমাজের প্রতিনিধি, কৃষক সমাজের প্রতিনিধি, পেশাজীবী-বুদ্ধিজীবীসহ সর্বস্তরের সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের চেষ্টা করার আহ্বান জানান।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, বাংলাদেশ নতুন ধারা জনতা পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল আহাদ নূর, দেশ প্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি ও মুভমেন্ট ফর প্যালেস্টাইনের আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ খান, গণআজাদি লীগের চেয়ারম্যান আতাউল্লাহ খান আতা, বাংলাদেশ ইসলামী দলের মহাসচিব হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি চেয়ারম্যান প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, শ্রমজীবী পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন আব্দুল কাদের জিলানী, জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টের চেয়ারম্যান শাহ আলম তাহের, ইসলামী বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদী, বাংলাদেশ ইসলামী নাগরিক পার্টি চেয়ারম্যান এম এ হানিফ, বাংলাদেশ ইসলামিক জনতা পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মোঃ আজহারুল ইসলাম, জাস্টিস পার্টি বাংলাদেশ ড মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ গণশক্তি পার্টি চেয়ারম্যান এডভোকেট নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রানা, বাংলাদেশ গ্রামীণ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ ভাসানী, জনতার কথা বলে মোহাম্মদ নাঈম হাসান, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, স্বাধীন বাংলা সংসদ বাংলাদেশ সাবাস বাংলাদেশ চেয়ারম্যান হাজী এ জলিল টাইগার বাপ্পি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আব্দুল জব্বার, জাতীয় অধিকার মঞ্চের সভাপতি জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ দেশ প্রেমিক প্রজন্ম বিপিজি আহ্বায়ক কাওসার মিয়াজী, বাংলাদেশ জেনারেশন পার্টির চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন পাঠান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান এম এম ফয়জুল্লাহ পাঠান, রাসুলের আদর্শের সৈনিক পার্টির মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন, বাংলাদেশ ছাত্র জনতা পার্টির সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ বেলাল হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমজীবী কর্মজীবী পেশাজীবী নতুন ঐক্যজোট আহবায়ক আলহাজ্ব এম ইউসুফ, নতুন বাংলার চেয়ারম্যান আকবর হোসেন, জনতা পার্টির সমন্বয়কারী কাদের সোহেল, ইসলামী শরীয়ত পার্টির সভাপতি জনাব ইলিয়াস রেজা, জাতীয় সমন্বয় প্যানেল তাইফুর রহমান রাহি, বাংলাদেশ কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলাম, সাবাস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম এ জলিল প্রমুখ।