নিজস্ব প্রতিনিধি :হবিগঞ্জে সদ্য যোগদানকৃত জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন এর সঙ্গে পরিবেশ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ দেখা করে পরিবেশ বিপর্যয়ে জর্জরিত হবিগঞ্জের সার্বিক চিত্র
সম্পর্কে অবহিত করেন।
আজ ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক মো: ইকরামুল ওয়াদুদ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) উপদেশক বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াছ বখত চৌধুরী, আহবায়ক তাহমিনা বেগম গিনি, বাপা হবিগঞ্জের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল ও পরিবেশকর্মী তাহমিনা বেগম।
সাক্ষাৎকালে নেতৃবৃন্দ দখল -দূষণে
পুরাতন খোয়াই নদী, খোয়াই নদী, পুকুর – জলাশয়, পাহাড়- টিলা কাটা, বালু উত্তোলন , শিল্পদূষণে ভয়াবহ বিপর্যস্ত সুতাং নদীসহ জেলার পরিবেশগত সার্বিক চিত্র সম্পর্কে জেলা প্রশাসককে অবহিত করে পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। জেলা প্রশাসক মনোযোগ সহকারে নেতৃবৃন্দের কথা শুনেন এবং পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবেন বলে আশ্বাস দেন।
এসময় শহরের পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত করে নদীটিকে স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিতের জন্য জেলা প্রশাসকের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, পুরাতন খোয়াই নদী হবিগঞ্জ শহরের প্রধান জলধার। ভূগর্ভস্থ পানির ভারসাম্য রক্ষা, বৃষ্টি পানি ও অন্যান্য পানি নিষ্কাশনের প্রধান আধার হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে নদীটি। এছাড়াও শহরের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় পুরাতন খোয়াই নদীর রয়েছে বিশাল ভূমিকা। কিন্তু দুঃখের বিষয় বহু বছর ধরে ভূমি খেকোচক্র নদীটিকে দখল ও ভরাট করে রেখেছে। পরিবেশবাদী সংগঠন ও নাগরিক সমাজ নদীটি দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছে দুই দশক ধরে। নাগরিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রশাসন ২০১৯ সালে নদীর একটি অংশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে, যা পুনরায় দখল হয়ে গেছে! নদীতে দখল – দূষণ অব্যাহত রয়েছে। নদী ও নদী তীরে নিত্য নতুন স্থাপনা হচ্ছে। যথাশীঘ্র পুরাতন খোয়াই নদীর মাছুলিয়া থেকে পুরান বাজারের মাছ বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নদীর পূর্ণাঙ্গ সীমানা নির্ধারণ, স্থায়ী সীমানা পিলার স্থাপন এবং সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে খনন ও এর উভয় পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করার দাবি জানানা হয়।

