রুপসীবাংলা৭১ অন্যান্য ডেস্ক : পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক বিস্ময় হিমালয় পর্বতমালা। হাজার বছর ধরে নিজের সৌন্দর্য ও স্বকীয়তা ধরে রেখেছে এই বিশাল পর্বতশৃঙ্খল। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দূষণের কারণে হিমালয় তার স্বাভাবিক রূপ হারাতে বসেছে।
ভারতের বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বোস ইনস্টিটিউট’-এর এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, হিমালয়ের মেঘে বিষাক্ত ধাতুর উপস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে।
বিশেষ করে মহাবালেশ্বর নামের এলাকায় দার্জিলিংয়ের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণে ভারি ধাতু পাওয়া গেছে।গবেষণায় জানা যায়, হিমালয়ের মেঘ নীরবে বহন করছে ক্যাডমিয়াম, তামা, দস্তা ও ক্রোমিয়ামের মতো ক্ষতিকর ধাতু। এসব ধাতু মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব উপাদান ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পূর্ব হিমালয়ের মেঘে পশ্চিম হিমালয়ের তুলনায় দেড় গুণ বেশি দূষণ রয়েছে। বিশেষ করে দ্রবীভূত ক্রোমিয়াম বাতাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই বিষাক্ত ধাতুগুলোর প্রধান উৎস হতে পারে হিমালয়ের নিচু অঞ্চল থেকে আসা যানবাহন ও শিল্পকারখানার ধোঁয়া ও নির্গত বর্জ্য থেকে। এসব ধাতু মেঘের মাধ্যমে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে, যা বৃষ্টির পানির সঙ্গে মাটিতে এবং পানিপ্রবাহে মিশে যেতে পারে।
এই দূষণের ফলে হিমালয় অঞ্চলের পানির মান, প্রাকৃতিক ভারসাম্য এবং মানুষের স্বাস্থ্য— সবই হুমকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি আরো গভীরভাবে অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা।
রুপসীবাংলা৭১/এআর