রুপসীবাংলা৭১ বিনোদন ডেস্ক : নন্দিত অভিনেত্রী ডলি জহুর। কয়েক দশক ধরে অভিনয় করে মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। এখনও তিনি অভিনয় করে যাচ্ছেন। তবে সিনেমায় এখন তাকে দেখা যাচ্ছে না। এই কিংবদন্তী অভিনেত্রী এবার জানালেন আক্ষেপের কথা। অনেক সিনেমাতে কাজ করলেও নাকি তাকে ঠিক মতো দেওয়া হতো না পারিশ্রমিক!
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে ডলি জহুর আক্ষেপ নিয়ে বলেন, আমরা যারা মা-খালা চরিত্রে অভিনয় করি, কোন মর্যাদা ইন্ডাস্ট্রিতে পাইনি- এটা সত্যি কথা।
ডলি জহুর বলেন, ‘আমার সারাজীবন শুনতে হয়েছে, আপনি টাকার জন্য কাজ করেন নাকি?’ টাকার জন্য নাকি কাজ করি না, অথচ আমি যে কষ্ট করেছি সিনেমাতে। মায়ের অভিনয় করতাম, টাকা কম পেতাম। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি থেকে চলে আসি ২০১১ সালে, এরপর আর কাজ করিনি। তখনও আমি ৩৪ লাখ পারিশ্রমিকের টাকা রেখে এসেছি।’
নিজের দুঃসময়েও নিজের কাজের টাকা পাননি ডলি জহুর। কাঁন্নাকাটি করে বলার পরও কোনও সুরাহা হয়নি, বরং যোগাযোগই বন্ধ করে দেন তার সঙ্গে।
ডলি জহুর বলেন, ‘সেই সময় আমি অনেক সিনেমা করি, অনেকের কাছে টাকা পাইতাম। এমনও হয়েছে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তারপরও পুরো টাকাই পেতাম। ওই সময় আমি কেঁদে কেঁদে বলছি- ‘কিছু টাকা আমার তুলে দেন আমার স্বামীকে নিয়ে ব্যাংককে যাব। কষ্টের বিষয় হল- আমার পাওনা টাকা তোলার জন্য, যাকে দ্বায়িত্ব দিলাম তার কাছেও টাকা পাইতাম। এরপর তো আর ওই লোক যোগাযোগ করেই নাই নিজেও কোন টাকা দেয় নাই। এমন সময়ে এক পাইও ইন্ডাস্ট্রি থেকে পাইনি।’
এই টাকার আশা ছেড়ে দিয়েছেন ডলি জহুর। তাই যাদের কাছে টাকা পান সরাসরি তাদের নাম প্রকাশ করে ছোট করেননি গুণী এই অভিনয়শিল্পী।
কদিন আগে জীবনের ৭০তম বসন্তে পা রেখে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, সারাটা জীবন অভিনয়ই করে গেছি। যখন যে কাজটি করেছি মন দিয়েই করার চেষ্টা করেছি। কোন কাজ করে কী সম্মানী পাব সেটা নিয়ে কখনো ভাবিনি। শুধু ভাবনায় ছিল আমাকে যে চরিত্রটি দেওয়া হয়েছে তাতে যেন ঠিকঠাক মতো অভিনয়টা করে যেতে পারি। এদেশের কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি আমি শুধু অভিনয় করেই। অভিনয় ছাড়াতো জীবনে আর কিছু পারি না, তাই এখনো অভিনয় করতেই ভালো লাগে। ২০২১ সালে ডলি জহুরকে ‘আজীবন সম্মাননা’ প্রদান করা হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে। ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ও ‘ঘানি’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
রুপসীবাংলা৭১/এআর