রুপসীবাংলা৭১ অন্যান্য ডেস্ক : চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের গাজীর বাড়ির ওমর ফারুক ওরফে জামাই ফারুক ফের অপরাধ কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গরু চুরি, মাছ চুরি, তার চুরি থেকে শুরু করে মাদক, ইয়াবা বিক্রি ও সেবনসহ কোনোটিই যেন বাদ নেই তার। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামাই ফারুক মূলত আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় বহু বছর আগেই নিজ গ্রাম থেকে বিতাড়িত হন এবং পরে পটিয়া পৌরসভার গাজীর বাড়িতে স্ত্রীর বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।এলাকাবাসীর অভিযোগ, জামাই ফারুক চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস সংলগ্ন কুখ্যাত নুরুল ইসলাম ডাকাতের ঘনিষ্ঠ এবং তার ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবে গরু চুরির চক্রের নেতৃত্ব দেন। পৌর সদরের শেয়ান পাড়া ও ব্রাহ্মণ পাড়ায় রয়েছে জামাই ফারুকের কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা ৫-৬ জন মিলে রাতে গরু চুরি, পুকুরের মাছ চুরি, বিদ্যুতের তার চুরি, ইয়াবা বিক্রি ও সেবনের মতো অপরাধে জড়িত।
স্থানীয়রা জানান, এই চক্রের দৌরাত্ম্যে রাতে কেউ নিরাপদ নয়। তাদের কারণে পটিয়ার শান্তিপ্রিয় এলাকাগুলো এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে, প্রায় দুই বছর আগে পটিয়ায় এস আলম বাড়ির সামনে একটি দোকানে ডাকাতির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জামাই ফারুককে শনাক্ত করে এবং গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। কিছুদিন পর জামিনে বের হয়ে এসে পুনরায় অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
২০২৪ সালে এলাকাবাসী ও স্বজনদের উদ্যোগে লিখিত স্ট্যাম্প নিয়ে তাকে এলাকা ছাড়া করা হয়। কিন্তু গত ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে তিনি পুনরায় এলাকায় ফিরে এসে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন বলে অভিযোগ।নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, জামাই ফারুকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই হুমকি আসে। সে প্রকাশ্যে বলে ‘আমি চুরি করি, কেউ কোনোদিন ধরতে পারে নাই, পারবেও না। এতটাই দুঃসাহসী হয়ে উঠেছে সে।
এলাকাবাসী মনে করেন, জামাই ফারুক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ভবিষ্যতে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তাদের দাবি, এ চক্রকে ধরলে বিগত দিনের বহু গরু চুরির ঘটনার সূত্র বেরিয়ে আসবে।পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান বলেন, জামাই ফারুকের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ অপরাধে জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধী যেই হোক, ছাড় দেয়া হবে না।
রুপসীবাংলা৭১/এআর