রুপসীবাংলা৭১ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক : রান্নাঘরের অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হলুদ। তরকারি কিংবা ভাজাভাজি- প্রায় সব রান্নাতেই অল্প হলুদ দেওয়ার চল রয়েছে। হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আয়ুর্বেদে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয় হলুদ। কিন্তু কিডনির সমস্যা থাকলে কি হলুদ খাওয়া ঠিক?
ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়ে’র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাধারণত হলুদ কিডনির জন্য উপকারী। এটি কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন যৌগ, দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং ক্রনিক অসুখের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই কিডনি ও রেচনতন্ত্রের জন্য উপকারী হলুদ। কিন্তু পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বেশি হলুদ খেলে কিডনির ক্ষতি?
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন ইউরিনে অক্সালেটের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এর ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তবে, হলুদ বেশি খেলেই যে কিডনিতে পাথর হবে তা ঠিক নয়। যদি আপনার কিডনি ঠিকমতো কাজ না করে কিংবা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তখন মাত্রাতিরিক্ত হলুদ খেলে সমস্যায় পড়তে পারেন। আবার আপনি যদি রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, সে ক্ষেত্রেও বিপদের ঝুঁকি থাকে অতিরিক্ত হলুদ খেলে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হতে পারে।
কতটা পরিমাণ হলুদ খাওয়া নিরাপদ?
প্রতিদিন ৫০০ থেকে ২০০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত হলুদ খাওয়া নিরাপদ। অর্থাৎ,দিনে ১-৩ চা চামচ হলুদ খেতে পারেন। যাদের কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস, তাদেরও পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেকেই কারকিউমিন সাপ্লিমেন্টও খান, সে ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
রুপসীবাংলা৭১/এআর