জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘‘রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরীকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে পারিনি। এটি আমাদের ব্যর্থতা। তিনি ২০ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিজের জীবন দিয়েছেন। এই সরকারের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু, দিন দিন প্রত্যাশা কমছে।’’
বুধবার (২৩ জুলাই) চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এনসিপির দেশব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পথযাত্রা’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘‘আমাদের একজন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আছেন, চেনেন ওনাকে? উনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাই-ব্রাদার কোটায় আসছেন। ড. ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।’’
তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছেন ওনার কার্যক্রম? উনি যে বেতনটা নেন, ওটা হারামভাবে। এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কোনো কাজের না। উনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বোঝেন না, চিকিৎসা বোঝেন না, যন্ত্রপাতি সম্পর্কেও তার কোনো জ্ঞান নেই। ওনার একমাত্র যোগ্যতা উনি গ্রামীণ ব্যাংকে ছিলেন এবং উনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছের মানুষ। এটাই ওনার যোগ্যতা।”
এ সময় দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান এনসিপির এই নেতা। হাসনাত বলেন, ‘‘আপনারা দেখেছেন, লাশের ওপর দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ রাজনীতির চেষ্টা করেছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার তো আমরা ক্লোজ করেছি, ভবিষ্যতে উত্থানের যেকোনো সম্ভাবনাও আমরা নাই করে দেব। এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা একসঙ্গে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।’’