রুপসীবাংলা৭১ প্রতিবেদক : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স সন্দেহে মিজানুর রহমান (২৭) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের লেবুতলী গ্রামে তাকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরদিন শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় তার।
নিহত মিজানুর একই গ্রামের মৃত আবদুশ শুক্কুরের ছেলে এবং দুই সন্তানের জনক।তিনি আনসার ভিডিপির সদস্য ছিলেন।
নিহতের ভাই মোহাম্মদ আলম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে লেবুতলীর আলী আকবর বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবদুর রহিম হঠাৎ পেছন থেকে এসে তার ভাই মিজানুরকে ধারালো দা দিয়ে কোপ দেন এবং পরে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। মারধরের সময় রহিম বলেন, তুই আমাদের ৮টি অস্ত্র দেখিয়ে দিয়েছিস, তোকে বাঁচতে দেব না।চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন মিজানকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর কিছু সময়ের জন্য জ্ঞান ফিরে আসলে মিজান হামলার বর্ণনা দেন। পরে অধিক রক্তক্ষরণের কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অভিযানে আটটি অস্ত্র জব্দ করা হয়।
মিজানুরকে সেই অভিযানের সোর্স সন্দেহে ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে হত্যা করা হয়েছে।আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাশরুরুল হক। তিনি বলেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। হত্যাকাণ্ডে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
রুপসীবাংলা৭১/এআর