ADVERTISEMENT
  • About
  • Advertise
  • Privacy & Policy
  • Contact
Ruposhi Bangla 71 | Online news update in Every Minutes
  • হোম
  • সম্পাদকীয়
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারা বাংলা
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • সংখ্যালঘু ডেক্স
    • আইন-আদালত
    • শিক্ষা-সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
No Result
View All Result
  • হোম
  • সম্পাদকীয়
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারা বাংলা
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • সংখ্যালঘু ডেক্স
    • আইন-আদালত
    • শিক্ষা-সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
No Result
View All Result
Ruposhi Bangla 71 | Online news update in Every Minutes
No Result
View All Result
ADVERTISEMENT

মসজিদ যেভাবে সামাজিক বন্ধন তৈরি করে

admin by admin
June 28, 2025
in অন্যান্য
0
মসজিদ যেভাবে সামাজিক বন্ধন তৈরি করে
ADVERTISEMENT

RelatedPosts

ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

বর্ষায় চামড়ার ব্যাগ ও জুতার যত্নে করণীয়

জ্ঞানের খোঁজে দেশ-দেশান্তরে


রুপসীবাংলা৭১ অন্যান্য ডেস্ক : রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় হিজরত করার পর সর্বপ্রথম কাজ হিসেবে মসজিদে নববী নির্মাণ করেছিলেন। এই পদক্ষেপ থেকেই বোঝা যায়, একটি ইসলামী সমাজ গঠনের জন্য মসজিদ কতটা অপরিহার্য। এটি কেবল নামাজ আদায়ের জায়গা নয়, বরং একটি সমাজের আত্মা ও চেতনার উৎস।

এই প্রবন্ধে আমরা মসজিদের বহুমাত্রিক সামাজিক প্রভাব ও তার সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করব।

১. সামাজিক সহযোগিতা ও সংহতির কেন্দ্র

মুসলমানরা পাঁচবার একত্র হয়ে নামাজ পড়ে, যার মাধ্যমে তাদের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কেউ যদি দুঃখে বা সমস্যায় পড়ে, তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রথমেই এগিয়ে আসে মসজিদের ভাইয়েরা। হাদিসে এসেছে, ‘মুমিনরা পারস্পরিক দয়া, মমতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি দেহের মতো; যদি এর কোনো অঙ্গ ব্যথিত হয়, তাহলে সমস্ত দেহ নিদ্রাহীন ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৮৬)

২. পরিচয়, বন্ধন ও ভ্রাতৃত্বের মাধ্যম

প্রতিদিন মসজিদে একত্র হওয়ার ফলে এলাকার বাসিন্দারা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন।

এই পরিচয় ধীরে ধীরে বন্ধনে রূপ নেয়, আর সেই বন্ধন পরিণত হয় ভ্রাতৃত্বে। এই সম্পর্ক শুধুই দুনিয়াবি নয়, বরং তা ঈমানভিত্তিক, আল্লাহর জন্য ভালোবাসা। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই মুমিনরা পরস্পরের ভাই।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১০)
এই ভ্রাতৃত্বের ফলে সমাজে সহনশীলতা, সহানুভূতি ও একতা গড়ে ওঠে।

ADVERTISEMENT

৩. সব শ্রেণি-পেশার মানুষের একত্র হওয়ার সুযোগ

মসজিদ ইসলামী সমাজে এমন এক প্রতিষ্ঠান, যেখানে ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, বয়স্ক-তরুণ—সবাই সমানভাবে অংশ নেয়। এখানে কোনো বর্ণ, জাতি, অর্থ বা সামাজিক অবস্থানের পার্থক্য নেই। কাতারে দাঁড়ানোর মুহূর্তেই বিলুপ্ত হয় অহংকার, শ্রেণিবৈষম্য ও সামাজিক ভেদাভেদ। এভাবেই একটি সাম্যভিত্তিক সমাজ গঠনের তাগিদ অনুভূত হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘একজন আরবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই অনারবের ওপর, আরব না হওয়ার কারণে কারো কোনো ছোটত্ব নেই, না সাদার ওপর কালোর, না কালোর ওপর সাদার, শ্রেষ্ঠতা কেবল তাকওয়ার ভিত্তিতে।’ (বায়হাকি, শোআবুল ঈমান, হাদিস : ৫১৩৭)

৪. বিপদে সহানুভূতির ছায়া

কোনো ব্যক্তি যখন বিপদে পড়ে, অসুস্থ হয়, মৃত্যু শোক, আর্থিক ক্ষতি বা একাকিত্বে ভোগে মসজিদের মুসল্লিরা তখন তার পাশে এসে দাঁড়ায়। কেউ অসুস্থ হলে খোঁজখবর নেওয়া, কেউ বিদেশে থাকলে তার পরিবারের খোঁজ রাখা—এ সব কিছুই একটি সুসংগঠিত মসজিদভিত্তিক সমাজে ঘটে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনদের দৃষ্টান্ত তাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি, দয়ার্দ্রতা ও সহমর্মিতার দিক দিয়ে একটি মানবদেহের মতো। যখন তার একটি অঙ্গ অসুস্থ হয় তখন তার সমগ্র দেহ তাপ ও অনিদ্রা ডেকে আনে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৮৬)

৫. একাকিত্ব দূরীকরণ ও বৃহৎ পরিবারের অনুভূতি

কোনো ব্যক্তি যদি একা হয়, পরিবার না থাকে, তবু মসজিদ তাকে সামাজিক নিরাপত্তা দেয়। অন্য মুসল্লিরা তার খোঁজ নেয়, তার সঙ্গে কথা বলে, তাকে ভালোবাসে। মসজিদ তাকে একটি বৃহৎ পরিবারের সদস্যরূপে গ্রহণ করে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন কালো অথবা একজন যুবক মসজিদ ঝাড়ু দিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে কয়েক দিন না পেয়ে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। লোকেরা তাঁকে জানালো, সে মারা গেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তোমরা আমাকে জানাওনি কেন? বর্ণনাকারী বলেন, তারা যেন তার ব্যাপারটি তুচ্ছ মনে করেছিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা আমাকে তার কবর দেখিয়ে দাও। তারা (কবরটি) দেখিয়ে দিলেন। তিনি ওই কবর সামনে রেখে জানাজার নামাজ আদায় করলেন। তারপর বললেন, ‘এ কবরগুলো তাদের জন্য অত্যন্ত অন্ধকার। আল্লাহ তাআলা আমার নামাজের কারণে তাদের জন্য কবরকে আলোকোজ্জ্বল করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৯৫৬)

৬. সমাজে স্নেহ ও করুণার প্রসার

মসজিদ এমন একটি স্থান, যেখানে প্রতিযোগিতা হয় পরকালের জন্য, দুনিয়ার জন্য নয়। এখানে কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়, বরং সবাই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একসঙ্গে কাজ করে। ফলে অন্তরে স্নেহ, ক্ষমা, সহানুভূতি ও করুণার জন্ম হয়। এই মানসিকতা সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।

৭. জুমার মাধ্যমে বৃহত্তর সামাজিক সংহতি

জুমার নামাজে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা জামে মসজিদে একত্র হয়। খতিব ইসলামী ভ্রাতৃত্ব, সামাজিক দায়িত্ব ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ওপর বয়ান দেন। এতে সবার মধ্যে আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ও একতা গড়ে ওঠে। জুমা নামাজ তাই শুধু ধর্মীয় অনুশীলন নয়, বরং একটি সামাজিক পুনর্মিলনী এবং মানসিক পুনর্গঠনের সুযোগ।

৮. ইসলাম থেকে বিচ্যুত সমাজে একতা ফিরিয়ে আনা

আধুনিক সমাজে পরিবারে বিচ্ছিন্নতা, আত্মকেন্দ্রিকতা ও অবিশ্বাস একটি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ বাস্তবতায় মসজিদ একটি বিকল্প সামাজিক কাঠামো উপহার দেয়, যেখানে মানুষ একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল ও আন্তরিক। ফলে সমাজের মানুষ আবার ঘনিষ্ঠ হয় এবং ইসলামী মূল্যবোধ ফিরে আসে।

৯. ধর্মীয় শিক্ষার কেন্দ্র

মসজিদে কেবল নামাজ নয়, বরং ইসলামী শিক্ষা, হাদিস, তাফসির, ফিকহ ও আখলাকের পাঠ হয়। এটি শিশুদের জন্য আদর্শ গড়ে তোলে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইলম অর্জনের সুযোগ দেয়। এতে সমাজে নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পায়।

১০. নেতৃত্ব ও সমাজ সংস্কারের কেন্দ্র

ইতিহাসে দেখা যায়, ইসলামী সমাজে সমাজ সংস্কার, দাওয়াতি কার্যক্রম এবং রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের প্রধান কেন্দ্র ছিল মসজিদ। রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মসজিদেই নিতেন। এটি নেতৃত্ব গঠনের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করে।

মসজিদ কোনো ইট-কাঠের স্থাপনা নয়; এটি ইসলামী সমাজের হৃদস্পন্দন। মসজিদ আমাদের আত্মিক শক্তি, পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধের কেন্দ্র। এর মাধ্যমে আমরা ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ—সব কিছুতেই ইসলামের সৌন্দর্য প্রতিফলিত করতে পারি। তাই প্রত্যেক মুসলিমের উচিত মসজিদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং সমাজে এর ভূমিকা আরো জোরদার করা।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে মসজিদের প্রকৃত মর্যাদা অনুধাবন করে তা রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

(আল-ইমাম.ডটকম অবলম্বনে)
রুপসীবাংলা৭১/এআর

Previous Post

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান কেয়াইন ইউনিয়নের সচিব দেবাশীষ লাঞ্চিত

Next Post

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

Next Post
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

যোগাযোগ করুন :

ঠিকানা :  ১৫১,মতিঝিল বা/এ, ঢাকা,বাংলাদেশ।

ফোন : +880 1916568675, 01685973164

ইমেইল :  info@ruposhibangla71.com

 
 
 

আমাদের সম্পর্কে :

সম্পাদক- গৌতম কুমার এদবর, নিবাহী সম্পাদক- মোঃ হারুন আর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক-নাজনীন সুলতানা (স্বপ্না), ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- বাপ্পী এদবর

 

 

 

this site Developed by Super Bangla IT

No Result
View All Result
  • হোম
  • সম্পাদকীয়
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারা বাংলা
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • অন্যান্য
    • সংখ্যালঘু ডেক্স
    • আইন-আদালত
    • শিক্ষা-সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

© 2024 Ruposhibangla71.com and Website Developed by Super Bangla IT.