নিজস্ব প্রতিনধিঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পরকীয়ার জেরে দেড় বছরের শিশু কন্যা নুসরাতকে গলা টিপে হত্যা করেছে তার মা আয়েশা বেগম। হত্যার পর কান্নার অভিনয় করে শিশুটির মরদেহের পাশেই বসে থাকেন তিনি। গতকাল (রোববার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভৈরব পৌর শহরের লক্ষীপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কান্নার শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন ঘরে ঢুকে শিশুটির নিথর দেহ দেখতে পান। আয়েশার আচরণে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে এবং আয়েশা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা স্বীকার করেন, পরকীয়া প্রেমিক আলমগীরের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে সন্তান নুসরাতকে গলা টিপে হত্যা করেন তিনি। ঘটনার পরপরই আলমগীর পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।নিহত শিশুর দাদা আবুল কালাম জানান, চার বছর আগে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা গ্রামের মন্নান মিয়ার মেয়ে আয়েশার সঙ্গে বেলাবো উপজেলার নিলক্ষিয়া গ্রামের উমর ফারুকের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই সন্তান জন্ম নেয়—আলিফ ও নুসরাত। দেড় মাস আগে আয়েশা বড় সন্তান আলিফকে দাদার বাড়িতে রেখে প্রেমিক আলমগীরের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে ভৈরবের লক্ষীপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নেন।ঘটনার দিন আয়েশা তার দেড় বছরের শিশু কন্যা নুসরাতকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত শিশুর দাদা আবুল কালাম বাদী হয়ে ভৈরব থানায় আয়েশা, আলমগীরসহ চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফোয়াদ রুহানী বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আয়েশাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। আলমগীরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।”