নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রতিদিন লোহালিয়া নদীর বগা ও চরগরবদী ঘাট দিয়ে ৮০০ থেকে এক হাজার যানবাহন পারাপার হয়। একটি সেতুর অভাবে যোগাযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত পটুয়াখালী জেলার তিন উপজেলার মানুষ। জেলা সদর বা রাজধানীতে যেতে নদী পারাপারে বগা, চর গরবদী, ফেরিঘাটে অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অথচ এই স্থানে একটি সেতু নির্মাণে ২০২১ সালে চীনের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হয়েছিল। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, জমি অধিগ্রহণ ব্যয় নিরূপণের কাজ শেষ হলে শুরু হবে সেতুর নির্মাণ।
পদ্মা সেতু চালুর পর সারা দেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়। তবে পটুয়াখালী জেলার, বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার মানুষ এখনও বঞ্চিত নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ সুবিধা থেকে। উপজেলা থেকে জেলা সদর ও রাজধানীতে যেতে পার হতে হয় লোহালিয়া নদী। ফেরি পারাপারই একমাত্র ভরসা।বগা ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন নদী পারাপারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। বিপাকে পড়েন রোগী, শিক্ষার্থী, এমনকি কৃষিপণ্য পরিবহনকারীরাও। এতে আটকে যাচ্ছে এ অঞ্চলের উন্নয়ন ও সম্ভাবনার চাকা।
লোহালিয়া নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি বহু পুরোনো। এ বিষয়ে ২০২১ সালের মার্চে চীনের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হলেও এখনো দৃশ্যমান হয়নি অগ্রগতি। স্থানীয়রা বলেন, ফেরি পারাপার করতে এখানে প্রায়ই লেগে থাকে যানজট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যানবাহনের যাত্রীদের। এতে করে যেমনি সময় নষ্ট হচ্ছে তেমনি স্থানীয়দের ব্যবসা বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এছাড়া সময়মতো ফেরি না পাওয়ায় মুমূর্ষু রোগীদের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে। তাই এই নদীর ওপর দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ করা দরকার।
প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে চলছে জমি অধিগ্রহণ ব্যয় নিরূপণের কাজ। এটি শেষ হলে দ্রুত সেতুর নির্মাণ কাজ শুরুর আশ্বাস সড়ক ও জনপথ বিভাগের। পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামিল আক্তার লিমন বলেন, এরই মধ্যে ব্রিজের ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। এখন জমি অধিগ্রহণে কী পরিমাণ অর্থ খরচ হবে সে বিষয়ে প্রাক্কলন তৈরি করা হচ্ছে। এটি শেষ হলে দ্রুত ডিপিপি প্রণয়ন করে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।