নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত পবিত্র ঈদুল-আযাহা। শনিবার ৭ জুন সকাল ৭টায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান মাদানী। বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত এই মসজিদে মোট ৫টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদের প্রথম জামাতে মুকাব্বির ছিলেন মসজিদের অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। জামাত শেষে খুতবা পাঠ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। মোনাজাতে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন ছোট-বড় সব বয়সী মুসল্লিরা। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয় দোয়ায়।মোনাজাতে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহসহ সব মানুষের গুনাহ মাফ চেয়ে দোয়া কামনা করা হয়। যে কোনো বিপদ থেকে দেশকে হেফাজতের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা হয়েছে।
আজ সকালে ঈদুল আজহার প্রথম জামাতে অংশ নিতে বিপুলসংখ্যক মুসল্লিদের ঢল নামে। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় নানান বয়সের মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করতে দল বেঁধে ছুটে আসেন মসজিদে। ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়েছে, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত ৯টায় ও চতুর্থ জামাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বেলা পৌনে ১১টায়।আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, পল্টন মোড় থেকে শুরু করে বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকার উত্তর, দক্ষিণ, পূর্বসহ মসজিদে প্রবেশের সব পথেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
বায়তুল মোকাররমের ঈদ জামাতে আগত মুসল্লিদের প্রবেশের ক্ষেত্রে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হয়েছে। জাতীয় মসজিদ ও আশপাশের এলাকা এসবির সুইপিং টিম এবং সিটিটিসির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হয়েছে। ডিএমপির সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। ডিবি ও সিটিটিসির পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য সাদা পোশাকে মোতায়েন রয়েছেন এবং পুরো এলাকায় আলাদা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে বাইতুল মোকাররমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. উকিল জানান “বায়তুল মোকাররম মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। খুবই শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকারের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”