রুপসীবাংলা৭১ ডেস্ক : মিনায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশের হজযাত্রীরা। অন্যান্য দেশের হজযাত্রীরাও মিনায় সমবেত হয়েছেন। বুধবার ৮ জিলহজ মিনায় সমাগমের মাধ্যমেই শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।
মিনার বিস্তীর্ণ প্রান্তর এখন ‘লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক’ ধ্বনিতে মুখর। বিত্ত-বৈভব, কামনা-বাসনাকে পরিত্যাগ করে হাজিরা আল্লাহর সান্নিধ্য ও ক্ষমাপ্রত্যাশী। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় হাজিদের মন ব্যাকুল। তারা পাপতাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান।
হাজিদের পরিধানে এখন সেলাইবিহীন শুভ্র দুই টুকরো কাপড়। আজ তারা ধনসম্পত্তির জন্য লালায়িত নন মোটেও। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে চান। তারা আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে পরিশুদ্ধ হতে চান। সদ্যভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হতে চান।
বাংলাদেশি হজযাত্রীদের হজ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং দলের দলনেতা ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিকও এখন মিনায় অবস্থান করছেন।
সৌদি সরকারের নির্দেশনায় মঙ্গলবার রাত থেকেই হাজীরা মিনায় আসতে শুরু করেন। হাজিদের আগমন নির্বিঘ্ন করতেই এরূপ নির্দেশনা জারি করে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
মিনা থেকে বুধবার রাতেই আরাফাতে রওয়ানা হবেন হাজিরা। ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য আগেভাগেই হাজিদের আরাফাতে নিতে বলেছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
আগামীকাল ৯ জিলহজ সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্বে কিছু সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। এরপর হাজিরা মাগরিবের নামাজ না পড়েই মুজদালিফার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে হাজিরা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন এবং মুজদালিফায় রাত্রিযাপন করবেন।
এ বছর বিশ্বের প্রায় ১৪ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরবে হজপালনের জন্য অবস্থান করছেন। স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৫৮ জন।
রুপসীবাংলা৭১/এআর