রুপসীবাংলা৭১ ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে শারজাহর একটি স্থানীয় রেস্টুরেন্টে খতমে কোরআর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
রোববার (১ জুন) শারজার একটি রেস্টুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দুবাই বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, ইউএ ই বিএনপির সদস্য এস এম মোদাচ্ছের শাহর সঞ্চালনায় অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন, আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রকৌশলী মাহে আলম, সামছুন নাহার স্বপ্না, প্রকৌশলী করিমুল হক, আজমান বিএনপির সভাপতি শাহীন, বাবু নীল রতন দাস, শাহদাত হোসেন সুমন, এইচ এম এরশাদ,আবুল বশর,মজিবুল হক মঞ্জু, বিএনপি নেতা সি,আই,পি, জাহাঙ্গীর আলম,শেখ সেলিম সহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, দেশপ্রেম এবং জাতি গঠনে তার অসামান্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তারা বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু একজন সেক্টর কমান্ডার এবং সফল রাষ্ট্রনায়কই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছিল এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছিল।
বক্তারা আরো বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে স্বনির্ভর করার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং কৃষকদের জন্য আধুনিক কৃষি পদ্ধতি প্রবর্তন, খাল খনন কর্মসূচী, গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ অসংখ্য জনকল্যাণমূলক কাজ শুরু করেছিলেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি সম্মানজনক অবস্থান লাভ করেছিল। মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই চালু হয়েছে।
বিএনপি সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখার নেতারা তাদের বক্তব্যে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়েও কথা বলেন এবং দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরো যারা বক্তব্য রাখেন ফজলুর রহমান পাপ্পু খান, আমিনুল ইসলাম টিপু, তরিকুল ইসলাম, জাকারিয়া রাশেদ, শাহ আলম, ইসমাইল হোসেন, এরশাদ কন্ট্রাক্টর, রুবেল চৌধুরী, রেজাউল করিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করে একটি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দোয়া মাহফিলের পর তবারক বিতরণ করা হয়।
এই স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি সম্মান জানানোর পাশাপাশি প্রবাসে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জাতীয়তাবাদী চেতনার পুনরুজ্জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রুপসীবাংলা৭১/এআর