আজ ২ ফেব্রুয়ারি২০২৪, সকাল ৯টা,৩০মিনিট, রাজধানী ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট থেকে বর্ণাঢ্য সাইকেল র্যালি আয়োজন করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, সব শ্রেণি মানুষকে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে এস.টি.আই.আর. সি প্রকল্প, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত,”বিডি ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্টের” সহযোগিতায় ৬৪ জেলার তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে “বিষমুক্ত ও নির্ভেজাল খাদ্য তৈরি সচেতনতা বাণী দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে” জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২৪ উপলক্ষে এ র্যালিটির অনুষ্ঠিত হয়।
‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সমৃদ্ধি চাই; নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তপক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২৪’ এর র্যালিতে চিত্রনায়ক ও মাননীয় সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ এ-কথা বলেন। এর আগে শান্তির প্রতীক হিসেবে পায়রা উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন তিনি। সকাল নয়টায় রাজধানীর ইনজিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গন থেকে শুরু হওয়া এ র্যালিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “খাদ্য ব্যবসায়ীদের শাস্তি দিলেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে, এমন না। তাদের মধ্যে বোধের উন্মেষ ঘটাতে হবে।”
মানুষের সাথে খাবার নিয়ে প্রতারণা না করার আহবান করে তিনি বলেন, “যে খাবারটা সে বিক্রি করছে, সে খাবার তার পরিবার ও ছেলে-মেয়েরাও খাচ্ছে, স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে। তাই খাবার নিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করা যাবে না।” বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এ শুভেচ্ছাদূত বলেন, “খাবার উৎপাদন থেকে ভোগ পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। অন্যথায় যে-কোনো জায়গায় খাবার অনিরাপদ হয়ে যেতে পারে। ” তিনি সবাইকে সবার জায়গা থেকে কাজ করার মাধ্যমে জাতির জনকের স্বপ্নীল সোনার বাংলা গড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় আমাদের সাথে আছেন।”
শাহবাগ হয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে শেষ হওয়া এ র্যালিতে বিশেষ অতিথি বক্তব্যে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইউম সরকার সচেতনতার উপর জোর দিয়ে বলেন, ” ভোক্তার সচেতনতা, উৎপাদক সচেতনতা ও যারা প্রক্রিয়া করে তাদের সচেতনতার মাধ্যমে আমরা এক সময় খাবার নিরাপদ করতে পারবো।”
এছাড়া তিনি বলেন,” নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কয়েকভাবে কাজ করে। প্রথম সচেতনতা, দ্বিতীয়ত মনিটরিং এবং সর্বশেষ অস্ত্র হলো শাস্তি। প্রথম দুইটার মাধ্যমে কাজ না হলেই আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করছি”। ব্যবসায়ীরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের শত্রু নয় বলে তিনি অভিহিত করেন। র্যালিতে বিশেষ আকর্ষণ ছিলো সাইকেলে করে ঢাকা শহরে খাদ্য নিরাপতার বার্তা ছড়িয়ে দেয়া। ‘বিডি টুরিস্ট সাইক্লিস্ট’ নামের একটি সংগঠন প্রায় শতাধিক সাইক্লিস্টদের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নিরাপদ খাদ্যের বার্তা ছড়িয়ে দেয়। সংগঠনের সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম টুববুস বলেন, “নিরাপদ খাদ্য পাওয়া সবার অধিকার। সবার সচেতনতা ছাড়া নিরাপদ খাদ্যের পরিবেশ তৈরী হবে না। ভিন্নভাবে মানুষকে সচেতন করতেই মূলত সাইকেলের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে মানুষকে জানানো হয়।”
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব, আব্দুন নাসের খান এ-র সভাপতিত্ব করেন,অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন,গবেষণা কর্মকর্তা, মোঃতাইফ আলী সহ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এনজিও, সামাজিক সংগঠনের কর্মীসহ মোট পাঁচ শতাধিক মানুষ উক্ত র্যালিতে অংশগ্রহণ করে,কর্তৃপক্ষের জেলা কার্যালয়সমূহেও বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হয় জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। দিবস উপলক্ষ্যে সংস্থাটি এবার আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘সেইফ ফুড কার্নিভাল-২০২৪’; যা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৮-১০ ফেব্রুয়ারি আয়োজিতব্য এ কার্নিভালে প্রায় ৭০টি স্টল খাবার তৈরী ও পরিবেশনে কীভাবে খাবারের নিরাপদতা নিশ্চিত করা যায়, তা উপস্থাপনের পাশাপাশি থাকবে বিভিন্ন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনটি রাজধানী বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ফিরে সচেতনতার বাণী সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবার আহব্বানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (বিএসএল কমপ্লেক্স) এসে শেষ হয়।