নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঢাকা, ১১ মে ২০২৫: সম্প্রতি নারী সংস্কার কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ফোরামে কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে যেভাবে আক্রমণাত্মক, অবমাননাকর এবং অশোভন বক্তব্য প্রদান করা হচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম।
প্রসঙ্গত, নারী সংস্কার কমিশন দেশের বিদ্যমান আইন, নীতি ও প্রশাসনিক কাঠামোতে নারীর অধিকারের অবস্থান মূল্যায়ন করে একটি সুপারিশনির্ভর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যার মূল উদ্দেশ্য হল- নারীর সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণে বৈষম্য দূর করা এবং রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় নারীর মর্যাদা ও অধিকারকে সুরক্ষা দেওয়া।
কিন্তু এই ইতিবাচক উদ্যোগকে ঘিরে কিছু গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যাচার করছে এবং বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে নারী সংস্কার কমিশনের সদস্য, মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ এবং কমিশনের প্রতি সহমত পোষণকারী ব্যক্তিদের, এমন কি ফোরামের আহ্বায়কের বিরুদ্ধেও কুরুচিপূর্ণ, লাঞ্ছনামূলক মন্তব্য করা হয়েছে।
এ ধরনের মন্তব্য শুধু ব্যক্তি বা কমিশনের প্রতি নয়, বরং নারীর মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি চরম অবমাননা। একইসাথে, এটি সংবিধানে প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকারের মূলনীতি ও নারীর সমঅধিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান।
শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম মনে করে, নারী সংস্কার কমিশনের এই প্রতিবেদন দেশের নারীর দীর্ঘদিনের লড়াই ও অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেই সাথে এও স্বীকার করে যে- মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। তাই বলে রুচিহীন, মিথ্যা, অসম্মানজনক কথা-বার্তা বা আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।জোরালোভাবে এ ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ, লিঙ্গবিদ্বেষী ও অবমাননাকর ভাষার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও প্রগতিশীল সকল অংশীজনকে কমিশনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নারীর অধিকার রক্ষায় একত্রিত হবার অনুরোধ জানান।