নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৯৪৯সনেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে মুসলিম লীগ-মহসীন রশিদ, সভাপতি-মুসলিম লীগ
আওয়ামী লীগ, মুসলিম লীগের ঘর ভেঙেই তৈরি হয়েছে। দল ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগকে ১৯৪৯সন থেকেই ত্যাজ্য পুত্রের মত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে মুসলিম লীগ। আজ (১০ মে) বেলা ১০টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের দশম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে এড. মো. মহসীন রশিদ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। তিনি সারাদেশ থেকে অধিবেশনে অংশ নেয় ৫শতাধিক কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে মতামত চাইলে সারা হলে উপস্থিত নেতা কর্মীরা দুই হাত তুলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে মতামত প্রদান করে। কাউন্সিলরবৃন্দ কণ্ঠভোটে জনাব মহসীন রশিদকে সভাপতি ও টানা চতুর্থ বারের মত কাজী আবুল খায়েরকে দলের মহাসচিব হিসাবে নির্বাচন করে এবং দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে আগামী ১০ জুন ২০২৫ এর ভেতর দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার দায়িত্ব প্রদান করে। এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এ.এফ.এম সোলায়মান ও ভাইস চেয়ারম্যান লেঃ কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের নায়েবে আমীর আব্দুর রব ইউসুফী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন, লেবার পার্টির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন, বাংলাদেশ কংগ্রেস মহাসচিব এড. ইয়ারুল ইসলাম, গনঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। দলীয় নেতৃবৃন্দের ভেতর, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য ওয়াজির আলী মোড়ল, সহ সভাপতি সৈয়দ আব্দুল হান্নান নুর, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ.এ কাফী, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ৫শতাধিক কাউন্সিলর অংশগ্রহণ করেন।
নেতৃবৃন্দ ১৯৭৪,১৯৭৮ ও ২০০৯ সালের প্রণীত আইনের তিনটি ধারায় দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সুযোগ আছে বলে মতামত ব্যক্ত করার পাশাপাশি পেহেলগ্রাম সহিংসতাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে ভারতের কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানান ও যুদ্ধের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে সংযম ও শান্তির পক্ষে মতামত দেন।