নিজস্ব প্রতিনিধিঃগণতন্ত্রসহ মানব রচিত সকল ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে’ইসলাম’ প্রতিষ্ঠায় ইসলামী সমাজে শামিল হউন আহব্বান জানান ইসলামী সমাজের আমীর শান্তিপূর্ণ গণজাগরণ যাত্রা চলাকালীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সংক্ষিপ্ত পথসভায় ইসলামী সমাজের আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বক্তব্য রাখেন।৩০ডিসেম্বর ২০২৪ ইং সকাল ১০ টায় ইসলামী সমাজের উদ্যোগে রাজধানীর বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ থেকে শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমূখে শান্তিপূর্ণ গণ-জাগরণ যাত্রা কর্মসূচি পালন করা করেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র ইত্যাদি কোন না কোন মানব রচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন বিধান ও শাসন কর্তৃত্ব মেনে মানুষের’ই দাসত্ব করছে, যার কারণে তাদের দুনিয়ার জীবনে চলছে চরম অশান্তি এবং এ অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে আখিরাতের জীবনে নিশ্চিত ঠিকানা হবে জাহান্নাম, যা মহাক্ষতিবাংলাদেশের মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় গণতন্ত্র গ্রহণ করে নিজেদেরকে সার্বভৌমত্বের মালিক দাবী করে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইনবিধান ও শাসন কর্তৃত্বের সাথে বিদ্রোহ করে তাঁরই প্রদত্ত ব্যবস্থা ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে ভয়াবহ আযাবগজবের মুখোমুখী অবস্থান করছে।
গণতন্ত্র মেনে চলার কারণে দুর্নীতি ও বৈষম্যের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে এবং আখিরাতের জীবনও ধ্বংস হচ্ছে, যা মূলতঃ দেশ ও জাতির মানুষের জন্য মহাক্ষতি। গণজাগরণ যাত্রার সমাপ্তিস্থল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইসলামী সমাজের আমীর আরও বলেন, মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের জান, মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তাসহ সকল ন্যায্য অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ এবং সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার সুব্যবস্থা করতে হলে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন বিধান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন – বিধান প্রতিষ্ঠিত হলেই দুর্নীতি ও বৈষম্য মুক্ত কল্যাণকর সমাজ ও রাষ্ট্র গঠিত হবে। গণতন্ত্রের অধীনে জোট- ভোট ও নির্বাচন বা সশস্ত্র লড়াই ইত্যাদির কোনটাই ইসলামের আইন – বিধান প্রতিষ্ঠায় ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতি নয়! মানব রচিত ব্যবস্থার ভিত্তিতে গঠিত ও পরিচালিত সমাজের বিপরীত ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামী সমাজ গঠন আন্দোলন’ই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক পদ্ধতি এ কথার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ইসলামী সমাজ গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন – বিধান প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কল্যাণ ও মুক্তির লক্ষ্যে দল, মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি মানুষের সার্বভৌমত্ব এবং আল কুরআন বিরোধী আইন – বিধানের ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী সকল অবৈধ নেতাদের আনুগত্য অস্বীকার করে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন – বিধান প্রতিষ্ঠায় ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে দৃঢ়তার সাথে নিন্মোক্ত শ্লোগানে শ্লোগানে আওয়াজ তুলার আহবান জানান-
১) রাব্বাকা ফাকাব্বির- আল্লাহু আকবার।২) আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার- সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহর। ৩) আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সার্বভৌমত্ব- মানি না, মানবো না। ৪) আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো আইন বিধান – মানি না, মানবো না। (৫) আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো শাসন কর্তৃত্ব- মানি না, মানবো না। ৬) গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থা – মানি না, মানবো না। ৭) গণতন্ত্র মানছে যারা- জাহান্নামে যাবে তারা। ৮) গণতন্ত্র মানবে যারা- জাহান্নামে যাবে তারা। ৯) মানব রচিত ব্যবস্থা মানছে যারা- জাহান্নামে যাবে তারা। ১০) মানব রচিত ব্যবস্থা মানবে যারা- জাহান্নামে যাবে তারা। ১১) ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঐক্য গড়- গণতন্ত্র খতম কর। ১২) ইসলাম প্রতিষ্ঠায়