নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের ব্যানারে চলমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরে সংঘঠিত অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, ঘর-বাড়ি লুটপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে ও দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ পূর্বঘোষিত ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অদ্য ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশ্যে পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের প্রতিনিধি ধ্রুব চৈতন্য অটল, এডভোকেট সুশান্ত অধিকারী, আশীষ দত্ত, নির্মল বিশ্বাস, প্রদীপ কান্তি দে, রাজেশ নাহা, তন্ময় হালদার, সুপ্রিয়া জয়ধর, বাংলাদেশ সনাতন পার্টির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুমন কুমার রায় সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অদ্য ৪টায় উক্ত সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকায় জড়ো হয়ে পদযাত্রার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অতিথি ভবন যমুনা রমনা ঢাকার অভিমুখে রওনা হলে দুর্নীতি দমন কমিশন সেগুনবাগিচার সামনে পুলিশ বাধা প্রদান করে। পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে পদযাত্রার মিছিলটি কাকরাইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনে গেলে পুনরায় পুলিশ বাধা প্রদান করে এবং পদযাত্রাটি ওখানেই আটকে দেয়। উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা তাদের ৮ দফা দাবি আদায়ে সেখানে স্লোগান প্রদান করেন। রমনা জোন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে প্রতিনিধিদের তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে পুলিশীর বাধায় নেতৃবৃন্দরা শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের এই বাধার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান। পরবর্তীতে সেখান থেকে পুলিশের আশ্বাসে পুলিশের গাড়িতে ৪ সদস্যের একটি টিম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলো প্রধান উপদেষ্টা বরাবর প্রেরিত স্মারকলিপিটি সেখানে উপস্থিত উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্মারকলিপি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান যা জাতির জন্য চরম লজ্জা ও হতাশার। তাৎক্ষনিকভাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের প্রতিনিধিরা উক্ত স্থানেই প্রতিবাদ মিছিল করেন এবং তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান। বক্তারা বলেন যে, স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে বিচারের আহ্বানে স্মারকলিপি প্রদান করতে আসা নাগরিকদের স্মারকলিপি গ্রহণ না করা ন্যায় বিচারহীনতার সামিল। যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ও সংবিধানকে প্রশ্নবৃদ্ধ করে। এর মাধ্যমেই রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাহীনতায় ও বৈষম্যহীনতায় চিত্র প্রস্ফুটিত হয়। যা জাতির জন্য একটি অশনী সংকেত বলে বক্তারা মনে করেন।