ইকবাল হোসেনঃ বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের কারণে পিলখানায় সংগঠিত হত্যাকান্ডের দায় চাপিয়ে দেওয়া ক্ষতিগ্রস্থ বিডিআর সদস্যদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের ত্রাণ তহবিলে বন্যার্তদের জন্য আর্থিক অনুদান তিন লক্ষ টাকা হস্তান্তর শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ এই কথা জানান
ফয়েজুল আলম সবুজ বলেন, হাসিনার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ভারতের র কে সন্তুষ্ট করতে, সেনাবাহিনীর সামর্থ্য ক্ষুণ্ন ও বাংলাদেশ রাইফেলসকে (বিডিআর) ধ্বংস করতে এবং নিজেদের ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করতে সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড’ ঘটিয়েছে এখন উপরস্তর কর্মকর্তাদের মুখ থেকে আসল কথা বের হচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বিচারের নামে আলামত ধ্বংস ও নিরীহ ৫৪ বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করেছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে তথাকথিত ‘বিডিআর বিদ্রোহের’ নামে সংজ্ঞায়িত করে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যেসব নিরীহ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের তালিকা করে পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, হত্যাকাণ্ডে জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগকারীদের আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জামিন কিংবা মামলা হতে অব্যাহতিসহ চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।
তিনি বলেন,২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের কারণে পিলখানায় সংগঠিত হত্যাকান্ডের দায় চাপিয়ে দেওয়া ক্ষতিগ্রস্থ বিডিআর সদস্যদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের ত্রাণ তহবিলে বন্যার্তদের জন্য আর্থিক অনুদান তিন লক্ষ টাকা হস্তান্তর করি এবং কিছুদিন আগে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার পতনে আন্দোলনরত আহত ছাত্র জনতার তহবিলে দুই লক্ষ টাকা হস্তান্তর করেন বলেন।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন,বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়েজুল আলম সবুজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাছির আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার ইসমাইল হোসেন, প্রধান উপদেষ্টা হাবিঃ মোশাররফ হোসেন, নাঃ জিল্লুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।