নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ২০ আগস্ট, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এনডিপি’র উদ্যোগে বিডিআর, হেফাজত, গুম-খুন এবং ২০২৪ শে গণঅভ্যূত্থানের সকল শহীদদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারসহ ১১ দফা দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর এনডিপি’র পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান ও নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতিত্ব করবেন এনডিপি’র চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা। এনডিপি’র মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ১১ দফা তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে- গণঅভ্যুত্থানের জনগণের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনকে সর্বজনীন করতে হবে। সাবেক স্বৈরাচার খুনী হাসিনা সরকারের সময় রাজনৈতিক হয়রানীর শিকার বিরোধী দলের সকল নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং যারা এখনও কারাগারে আছেন তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। বিডিআর হত্যা মামলায় যারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এখনো জেলে আছেন কমিশন গঠনের মধ্যে দিয়ে তাদের মুক্তি দিতে হবে এবং প্রকৃতহত্যাকারীদের চিহ্নত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। চাল, ডাল, তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে এবং স্বৈরাচার সরকারের গঠিত সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে হবে ও অবৈধ সিন্ডিকেটের সকল সদস্যদের গ্রেফতার করতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা এখন পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন তাদের নামের তালিকা জনসম্মূখে সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে। এখনও যারা আহত অবস্থায় রয়েছেন তাদের যদি কেউ মৃত্যুবরণ করেন তাদেরকে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। যারা কালো টাকা বিদেশে বাচার করেছে তাদের তালিকা তৈরি করে গ্রেফতারসহ কালো টাকা বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। সাবেক সেনা কর্মকর্তা তারিক সিদ্দিকীসহ যারা গুম করেছে তাদের গ্রেফতার এবং আয়নাঘরে গুম হওয়া সকলকে মুক্ত করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। হেফাজতে আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের নামে তালিকা প্রকাশ এবং হুকুম দাতাদের চিহ্নত করে তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যারা হামলা করছে তাদের তালিকার করে নাম প্রকাশ করতে হবে। খুনি হাসিনাসহ যারা পালিয়ে আছে তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনডিপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান, আলহাজ্ব সাইফুল ইসলাম, সহকারী মহাসচিব আরকে রিপন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাংবাদিক নেতা মোঃ মতিউর রহমান সরদার, মোঃ নবী হোসেন, এনডিপি’র নেত্রী সেলিনা আক্তার শিখা, কবি মুজিবুর রহমান, আবু তালেব প্রমুখ।
সভাপতি সমাপনী বক্তব্যে বলেন, দুর্নীতির মূল কুশলবরা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে খুনী হাসিনার দোসররা এখনও অবস্থান করছে। প্রয়োজনে সংবিধান সংস্কারের মধ্য দিয়ে সবকিছু ঢেলে সাজিয়ে শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মুদ্ধদের রক্তের প্রতিদান দিতে হবে। সংস্কারে যতদিন দরকার ততদিনই এই সরকার তাদের দায়িত্বে থাকবে বলে আমরা আশাবাদী।