নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ ১৩ ই আগস্ট রোজ সোমবার বিকাল ৪ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বৈষম্য বিরোধী গণ আন্দোলন এর ডাকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করবার জন্য এই দেশের বহু মানুষ জীবন দিয়েছে, গুম হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, আয়নাঘরে হারিয়ে গিয়েছে, যে দুই একজন ফিরে এসেছেন তাঁরা আদৌ আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন কিনা সন্দেহ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ কিভাবে বিরোধী দলকে নির্মূল করতে চেয়েছে, সেই ইতিহাসও আমরা জানি। বাংলাদেশের জনগণের শত্রুমিত্র সম্পর্কে ধারণা হতে হবে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তাঁকে হুঁশিয়ার থাকতে হবে
বৈষম্য বিরোধী গণ আন্দোলন কোন রাজনৈতিক দল নয়, এটা গণ রাজনৈতিক ধারার একটা প্ল্যাটফর্ম। এই প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে আজকে জাতীয় প্রেসক্লাবে আমরা সমবেত হয়েছি। গণঅভ্যুত্থানের ভয়ে সেই ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পিছনের দরজা দিয়ে পলায়ন করলেও খুনি হাসিনার নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান শাহাবুদ্দিন চুপ্পু এখন ও বগাল তবিয়তে আছেন এবং আরএকটা প্রতি বিপ্লবের ষরযন্ত্র করছে। গণ আন্দোলনের মাধ্যমে যেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় এই সরকার একটি বিপ্লবী সরকার। এই বিপ্লবী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস আজকে খুনি হাসিনার নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান শাহাবুদ্দিন চুপ্পু এর প্রধান উপদেষ্টা ।
একটি গণঅভ্যুত্থানের গঠিত বিপ্লবী সরকার ফ্যাসিস্ট হাসিনার অধিনে থাকতে পারে না। ফ্যাসিস্ট হাসিনার বানানো প্রেসিডেন্ট যতক্ষণ পর্যন্ত বঙ্গভবনে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত বুকের রক্ত দিয়ে অর্জন করা ২৪ সালের সেই স্বাধীনতা লুট হওয়ার সম্ভাবনা অভিসম্ভাবি। সুতরাং অবিলম্বে হাসিনার বানানো শাহাবুদ্দিন চুপ্পকে অপসারণ করে, সেই জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন বিপ্লবী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে রাষ্ট্রপতি হিসেবে করতে হবে।
বক্তারা বলেন বিগত ১৫ বছরে এই দেশে মামলা, হামলা, গুম, খুনের মাধ্যমে যেই ফ্যাসিস্ট রাজনীতি চর্চা হয়েছে এবং বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের রন্ধে রন্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং খুনি হাসিনার প্রেতাত্মারা অবস্থান করছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই রাষ্ট্র সংস্কার না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদেরকে রাজপথে থেকে পাহারা দিতে হবে।
তারপরে জনগণের অভিপ্রায়ের মাধ্যমে একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে হবে। এই গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে কৃষক শ্রমিক মেহনতী সহ সকল পেশার মানুষের মতামত নিতে হবে । সেই মতামতের প্রেক্ষিতে একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করতে হবে, যে গঠনতন্ত্র সাধারণ মানুষের জন্য একটি বাসযোগ্য রাষ্ট্র কায়েম করবে।
উক্ত মানববন্ধনে সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসাইন বলেন ১৫ আগষ্টের পূর্বে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে বিপ্লবী সরকারের রাস্ট্রপতি ঘোষনা করতে হবে অন্যথায় ছাত্র-জনতা আবার রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নামবে। আপনার মিডিয়ায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আপনার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।