নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রুপান্তর প্রকল্পে পরিপত্র উপেক্ষা করে এক মাসের মধ্যেই প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১৭ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর।একইসাথে স্ট্যান্ড বদলী করা হয়েছে প্রকল্পের দুই কর্মকর্তাকে। সরকারি নির্দেশনাকে যথাযথ অনুসরণ না করেই প্রকল্প পরিচালককে বদলী করা হয়েছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে অফিস সহকারি আমিরুলকে দিয়ে স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও।যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তিনি।
অথচ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ সংক্রান্ত্র নিয়মাবলী সংক্রান্ত্র পরিপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, একান্ত প্রয়োজন না হলে প্রকল্প বাস্তবায়নকালে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে নিয়োজিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, অভিজ্ঞ প্রকল্প পরিচালককে অন্যত্র বদলী পরিহার করতে হবে। তবে পদোন্নতি অথবা শাস্তিপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে না। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাতে পদোন্নতির সকল সুযোগ সুবিধা দিয়েও প্রকল্প সমাপন অব্দি প্রকল্প পরিচালকের পদে বহাল রাখার চেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। একই সাথে প্রকল্প পরিচালকের নিয়োগ, অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান এবং বদলী বিষয়ে অবশ্যই মন্ত্রীর অনুমতি নেয়ার করা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। অথচ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রকল্প পরিচালক শামীম আহমেদকে ভোলায় এবং হিসাব রক্ষক মনিরুজ্জানকে বদলী করা হয়েছে পঞ্চগড়ে, যখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদার প্রতিবেদককে জানান, বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থছাড়ের একটা বড় সুযোগ আসে জুন মাসে। ঠিক এ সময়টাতেই যদি কোনভাবে ম্যানানিজম করে অর্থছাড়ের ব্যবস্থা না করা যায়, তাহলে এই অর্থ পেতে ঠিকাদারদের অপেক্ষা করতে হবে ৬ থেকে ৯ মাস। এটা একজন ঠিকাদার বলেন আর ব্যবসায়ী বলেন, তার জন্য কষ্টকর। আর এই অর্থ ছাড় দেয়ার একমাত্র এখতিয়ারভুক্ত পদ হলো প্রকল্প পরিচালক। তাই প্রকল্প পরিচালক যদি মনের মতো না হয়, তাহলে ঠিকাদাররা প্রয়োজনে অর্থ ব্যয় করে হলেও প্রকল্প পরিচালক বদলের মতো উদ্যোগ নিতে পারে বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার।
তারা সুনির্দ্রিষ্ট একজন ঠিকাদারের নাম উল্লেখ করে প্রতিবেদককে জানান, তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠান কাজ পেতে এবং কাজ করে, না করে হলেও অর্থছাড় নিয়মিত রাখতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নরকম ষড়যন্ত্র করে এসেছে। এটি অধিদপ্তরের একটি ওপেন সিক্রেট। সেই ঠিকাদারের সাথে অনন্ত স্যারের ঘনিষ্ঠতা অনেক। দীর্ঘদিন এই অধিদপ্তরের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করায়, এখানকার নাড়ী-নক্ষত্র তার সব জানা। তিনিই হয়তো উর্ধতনদের সাথে যোগ সাজস করে পিডি বদলী, পিডি নিয়োগের মতো কাজও ত্বরান্বিত করতে পারেন। এসবে ব্যবহৃত অর্থ হয়তো প্রকল্পের ২৫% অর্থ অগ্রীম দেয়ার সুযোগ নিয়ে তুলে থাকতে পারেন। ঠিকাদারেরা বলছেন, আমরাও কেউ কেউ কিছু টাকা অগ্রীম তুলে নিয়েছি। এ আগে কোন প্রকল্প পরিচালক এভাবে এক মাসের মধ্যেই অর্থছাড় করেননি বলেও প্রতিবেদককে জানান ঠিকাদারদের কয়েকজন।
তারা দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিবেদককের কাছে জানান, এই প্রকল্পের পরিচালকের অপরাধের দায়ভার কাধেঁ নিয়ে দুজন কর্মকর্তাকে কেন্দ্র ছাড়তে হচ্ছে। অথচ আমরা জানি তারা কোন অপরাধের সাথে জড়িত না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তা শতভাগ সত্য দাবি করে ঠিকাদারেরা প্রতিবেদককে বলেন, অর্থছাড়ের অর্থ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন। প্রকল্পের কাজ কতটুকু হলো সে কারণে এটি এখন আর কারো বিবেচ্য নয়। তারা তথ্যদাতাকে খূঁজে বের করে শাস্তি প্রদানের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। ঠিকাদারেরা বলছেন, প্রকল্প পরিচালককে বাঁচাতে কারা কারা মরিয়া, সেদিকে নজর দিলেই আসল তথ্য বের হয়ে আসবে।
মূলত রপ্তানির আগে কাঁচাপণ্যের মান যাচাই ও প্যাকিংয়ের সুবিধার জন্য অধিদপ্তরের অধীনস্ত শ্যামপুরের ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানে তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২১ সালে নেওয়া প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৫৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের জুনে। এই প্রকল্পকি প্রস্তুত করেন উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের, সংগনিরোধ কীটতত্ত্ববিদ (সংগনিরোধ রুলস, পলিসি ও পরীক্ষাগার), জগৎ চাঁদ মালাকার।দায়িত্বরত অবস্থায় জগৎ চাঁদ মালাকারের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠলে পরিপত্র মেনে প্রকল্প পরিচালক পদে নিয়োগ পান উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (বালাইনাশক প্রশাসন)শামীম আহমেদ।
হঠাৎ করেই জুন মাসের দুই তারিখ একটি চিঠিতে শামীম আহমেদকে এলআর করা হয়েছে মর্মে চিঠি দেয়া হয়। একই দিনে ডিডি থেকে পদোন্নতি পেয়ে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে স্থাপিত উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রুপান্তরের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান এস, এম, খালিদ সাইফুল্লাহ।
নিয়োগ পাওয়া মাত্রই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মার্ল্টিবিজ ইন্টারন্যাশনালের কাছে ৩০ হাজার ৬১৭ স্কয়ার ফিটের ল্যাবরেটরির নির্মাণাধীন ছয়তলা ভবনের পাইলিংয়ের ক্যাপের কাজের বিপরীতে চার কোটি ৭৫ লাখ টাকা দিয়ে দেন খালিদ সাইফুল্লাহ। ১১ ও ১৯ জুন দুইটি ভাউচারের মাধ্যমে এই অর্থছাড় করা হয়।আর এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা।
একইভাবে কেন্দ্রীয় এই প্যাকিং হাউজের টক্সিকোলজি ল্যাবে নতুন ১৮টি মেশিন সরবরাহ করার কথা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কার্নেল ইন্টারন্যাশনালের। মেশিন সরবরাহ হয়েছে ঠিকই তবে তা কাগজে, বাস্তবে নয়। অথচ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এজন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দিয়েছেন ১১ কোটি ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ কেনা বাবদ ১১ কোটি টাকা অনুমোদন করা হলেও অর্থ না থাকায় ঠিকাদারকে দেওয়া হয় ৭ কোটি টাকা।থাকলে সব টাকাই হয়তো পরিশোধ করা হতো। যদিও ওইসব যন্ত্রাংশ এখনো কেনা হয়নি। এ ছাড়া ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ল্যাবরেটরিতে ব্যবহারযোগ্য নানারকম যন্ত্রাংশ ২০১৮-১৯ সালের দিকে আমদানি করা হয়েছিল। সেগুলোর প্যাকেট এখনো খোলা হয়নি। অনেকগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রকল্পে বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা না মেনে বিদেশ ঘুরে এসেছেন প্রকল্প পরিচালক এস এম খালিদ সাইফুল্লাহ।
এই অনিয়ম এবং আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। সেইসব প্রতিবেদন আমলে নিয়ে রাজধানীর শ্যামপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় প্যাকেজিং দপ্তরে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।১৫ জুলাই দুপুরে অভিযান পরিচালিত হয়। কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে দুই সহকারী পরিচালক সাজিদ-উর-রোমান ও উপ-সহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন সজলের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে মতামত তুলে ধরেন মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী।তিনি বলেন, ভবনের পাইলিং ছাড়া কোনো কিছুই দৃশ্যমান হয়নি। তাহলে কীভাবে প্রথম-দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত বিলে সই করলেন– এমন প্রশ্নে সদুত্তর দিতে পারেননি প্রকল্প পরিচালক এস. এম. খালিদ সাইফুল্লাহ।
এদিকে, দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি মাল্টিবিজ ইন্টারন্যাশনালের কর্নধার মো. ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার ফোনে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। কাজ পাওয়ার জন্য এই প্রতিষ্ঠানের যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে সেটিও সঠিক নয় মর্মে প্রতিবেদকের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।অন্যদিকে, কার্নেল ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দহারের দাবি, এখনও সব মালামাল দেওয়া হয়নি। যতটুকু বিল পাওয়া গেছে, ততটুকু মালামাল পৌঁছেছে।
তবে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অধিশাখার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্থাটির ১০টি ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় দেওয়া হয় মিথ্যা তথ্য। অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির কথা উল্লেখ করে প্রকল্প ব্যয় ১৫৬ কোটি ৩৬ লাখে উন্নীত করা হয়। এর মধ্যে ৬৯ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয় ১১১ কোটি টাকায়।
পুরো প্রকল্প যেই ল্যাবরেটরিকে ঘিরে, সেখানেও নেওয়া রয়েছে বিস্তর গরমিল। কারণ উদ্ভিদ সংগনিরোধ ওই ল্যাবরেটরির জন্য এর আগেও প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নানারকম যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো একবারের জন্যও ব্যবহার করা হয়নি। এমনকি খোলা হয়নি অনেক প্যাকেটও। সূত্র বলছে, ইতোমধ্যে অনেক যন্ত্রাংশ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর আগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘বাংলাদেশ ফাইটোস্যানিটারি সামর্থ্য শক্তিশালীকরণ প্রকল্প’-এর আওতায় ২০১৮-১৯ সালের দিকে কেনা হয়েছিল যন্ত্রগুলো। ৫৬ আইটেমের ৭১টি যন্ত্র এরই মধ্যে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব যন্ত্র মেরামতের জন্য নেওয়া হয়েছে নতুন উদ্যোগ। এতে ব্যয় হবে প্রায় পৌনে ৩ কোটি টাকা। তবে এসব টাকা দেওয়া হবে ‘উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর প্রকল্প’-এর আওতায়।
কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউসে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এসব যন্ত্রপাতি অন্তত পাঁচ-ছয় বছর ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে কার্যকারিতা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক যন্ত্রের সফটওয়্যারের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে ‘উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর প্রকল্প’-এর আওতায় ফের নতুন ১৮ আইটেমের মেশিন ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্নেল ইন্টারন্যাশনাল। ইতোমধ্যে এই ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে ৭ কোটি টাকা। বাকি টাকা অর্থ থাকা সাপেক্ষে ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হবে বলে বলা হয়। তবে পুরো মালপত্র বুঝে পেয়েছেন মর্মে স্বাক্ষর দেওয়া হয়। প্রকল্প পরিচালক এস এম খালিদ সাইফুল্লার পাশাপাশি এসব যন্ত্রাংশ বুঝে পাওয়ার তথ্য জানিয়ে স্বাক্ষর করেছেন প্রকল্পের উপ-পরিচালক অনন্ত সরকার। এমনকি এসব পণ্য বুঝে পেয়ে ল্যাবরেটরির যন্ত্রাংশের তালিকায়ও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে মর্মে স্বাক্ষর করা হয়। এই প্রকল্পে বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। তা সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে চেক রিপাবলিক ঘুরে এসেছেন প্রকল্প পরিচালক এসএম খালিদ সাইফুল্লাহ এবং উপপরিচালক অনন্ত সরকার।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক এস এম খালিদ সাইফুল্লা এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে রাজী হননি। মিটিং আছে বলে প্রতিবেদককে এড়িয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে কৃষি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে প্রতিবেদককের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আলোচনার চুম্বক অংশ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে।