নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকন উদ্দিন জামান (লক্ষণ) ও ভাই বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও ঠিকাদার খন্দকার রবি-উজ-জামান সিপারের হত্যাকান্ডের বিচার দীর্ঘ ২০ বছরেও না পেয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদী অবস্থান ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাংবাদিক খন্দকার মাসুদ উজ জামান।
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার মালিপাড়া গ্রামের একই পরিবারের পিতা-পুত্র নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ হত্যাকান্ডের সন্দেহের তীর এখন নিহত খন্দকার রবিউজ্জামান সিপারের স্ত্রী সুলতানা পারভীনের দিকে। ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর অপ্রত্যাশিত হত্যার শিকার হন খন্দকার রবিউজ্জামান সিপার। এর আগে ২০০৬ সালের ৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার খোকসার নিজ বাড়িতে জবাই করে খন্দকার রবিউজ্জামানের পিতা রোকন উদ্দিন জামান লক্ষনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পিতা-পুত্রের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। খন্দকার রবিউজ্জামানের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তার স্ত্রীর সন্দেহজনক আচরুণ এ হত্যাকাণ্ডকে আরো রহস্যময় করে তুলেছে। এলাকাবাসীর সন্দেহ এ উভয় হত্যাকান্ডের সাথে মরহুম রবিউজ্জামানের স্ত্রী সুলতানা পারভীন সরাসরি জড়িত।
এ হত্যাকান্ডের বিবরণ দিতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে পরিবারের সদস্যরা ও এর এলাকার লোকেরা জানান, শৈলকুপা থানার মালিপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রোকন উদ্দিন আমান লক্ষণের মেঝো পুত্র খন্দকার রবিউজ্জামান সিপার এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন ঠিকাদার রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী ছিলেন। ঘটনাক্রমে বিগত ২০০২ সালে একই উপজেলার বড়দা গ্রামের আক্কাস আলীর কন্যা মোছাঃ সুলতানা পারভীনের সঙ্গে পারিবারিক সিদ্ধান্তে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের এক বছর যেতে না যেতে তাদের পরিবারে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে এই কন্যার বয়স ১৪ বছরে এবং ঔরসজাত পিতার রাখা নাম খন্দকার তেরানা জামান।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকার চরমপন্থী অলিয়ারের সাথে নিহত রবিউজ্জামানের স্ত্রীর দৈহিক সম্পর্ক ছাড়াও নানাবিধ সম্পর্ক ছিল। স্ত্রীর এহেন চরিত্রের কারণে রবিউজ্জামান প্রায় হতাশ ছিলেন। তিনি স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে তার স্ত্রী লোকজন নিয়ে স্বামীর পরিবারে ক্ষমা চেয়ে সংসারে টিকে যান। কিন্তু ছলনাময়ী স্ত্রী এই সুযোগে স্বামী হত্যার সকল নীল নক্সা করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তিনি তার স্বামীকে হত্যা করেই নীল নক্সার সফল বাস্তবায়ন করেন। পথের কাঁটা সরিয়ে দিয়ে নীল নক্সা অনুযায়ী তার পূর্বের প্রেমিক বাদশা কে বিবাহ করেন। মরহুমের পরিবার সন্দেহ করছেন, রবিউজ্জামানের ঔরসজাত কন্যাকে যে কোন সময় হত্যা করা হতে পারে। তাই আইনত রবিউজ্জামানের কন্যাকে তার চাচাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা সরকার ও আদালতের প্রতি আহ্বান জানান। মরহুমের পরিবার আশঙ্কা প্রকাশ করছে, গ্রেপ্তার এড়াতে খুনি সুলতানা তার বর্তমান স্বামীর সঙ্গে যে কোন সময় দেশের বাইরে চলে যেতে পারেন। এলাকাবাসীর ধারণা মরহুমের স্ত্রী সুলতানা পারভীনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।