আসলাম ইকবালঃ চলচ্চিত্র হচ্ছে বিশে^র সবচেয়ে শক্তিশালী গণমাধ্যম। বাংলাদেশের সেই চলচ্চিত্র মাধ্যমের দুরাবস্থার কথা জানালো চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির নীতি নির্ধারকরা। ৩ জুন ২০২৪ বিকেল ৪টায় এফডিসি জহিরায়হান কালারল্যাব মিলনায়তনে দেশের সিনেপেক্সের মাল্টিপ্লেক্স প্রজেকশন হলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম নিয়ে ‘চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির’ (১৯ সংগঠন) আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রের প্রযোজক, পরিচালক, ক্যামেরাম্যান, শিল্পী, কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির কনভেনার খোরশেদ আলম খসরু আলোচনায় অংশ নেন এবং বলেন, প্রযোজক আরশাদ আদনানানকে কমিটির উপদেষ্টা করার ব্যাপারে হাউজে প্রস্তাব রাখেন। আমাদের এই ১৯ সংগঠনের মিটিং করে আলোচনা করে নেব। পরিশেষে বলেন, সিনেমা হল মালিকদের ডেকে বলবো আমাদের সব ছবি চালানোর জন্যে তারা যদি না মানে আমরা প্রযোজকরা ছবি দিবো না, কিভাবে চালায় দেখবো।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, চিত্র গ্রাহক সংস্থার সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, প্রযোজক পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, পরিচালক শাহ আলম কিরন, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু, ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি প্রযোজক সামসুল আলম, প্রযোজক আলিমুজ্জামান খোকন, প্রযোজক ও পরিচালক ইস্পাহানী আরিফ জাহান, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন ও প্রযোজক আরশাদ আদনান, প্রযোজক পরিচালক মো: ইকবাল ও প্রযোজক ইসলাম মিয়া।
সভায় আব্দুল লতিফ বাচ্চু বলেন, একটা ছবি যদি ফ্লপ হয়, ক্ষতিটা কার? প্রযোজক কোথায় যাবে? আগেই সোচ্চার হওয়া উচিত ছিলো। পরিবেশকদের ছবি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে আন্দোলন করতে হবে। আবু মুসা দেবু : প্রযোজকদের এক হতে হবে। প্রযোজক যদি না থাকে। চলচ্চিত্র বাঁচবে না। ২-১ জন ব্যবসা করে যাবে তা হবে না। দেলোয়ার জাহান ঝণ্টু: কথা হচ্ছে সিনেপ্লেক্স নিয়ে, সিনেপ্লেক্সের মালিকরা আমাদের লোক না। তারা মনে করে আমরা ফাইস্যা গেছি। ঠিকমত লভ্যাংশ দেয় না বাংলা ছবি নামিয়ে দেয়। শাহীন সুমন : লাখো শহীদের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা, চলচ্চিত্র আমাদের কৃষ্টি কালচার, চলচ্চিত্র আমাদের পরিচয় বহন করে। চলচ্চিত্রের জন্য এখনো লড়াই করে যাচ্ছেন লড়াকু সৈনিকরা। আমাদের হলে দেশীয় বাংলা সিনেমা চালাতে হবে। এই সভা করে শেষ করা যাবে না।
ইসলাম মিয়া: সিনেপ্লেক্সে ছবি চালাতে হলে লাইন দিতে হয়, ইন্টারভিউ দিতে হয়। এটা সহ্য করা যায় না। আরশাদ আদনান: সিনেমার দুর্দিন, কয়জন প্রযোজক আছে যে ছবি বানান, সুযোগ নিচ্ছে বাইরের প্রযোজকরা, আমরা নিষ্ক্রিয় তাই, আমাদের সামনে লক্ষ্য নাই। সিনেমা হল নাই। অনেক হল সারাবছর বন্ধ রাখে, দুই ঈদে খুলে। সারা বছর ছবি চালায় না। সিনেপ্লেক্সে ছবি দেবো না, আমরা এক প্রকার বেনিয়া সিনেপ্লেক্সের কাছে। আসলে সৎ থাকার ইচ্ছে। থাকতে হয়, দেশকে কিছু দিতে হয়।
এফডিসিকে যুগউপযোগী করতে হবে, আমরা চুপ করে বসে থাকি, অন্যেরা এসে ছবি প্রযোজনা করুক। এফডিসি বন্ধ হোক, হল ভেঙ্গে যাক? এভাবেই কি চলবে? ছবিঃ মোস্তাফিজ মিন্টু।