আসলাম ইকাবলঃআর্থ সামাজিক উন্নয়ন ক্ষুদ্র ঋণের সুষ্ঠু ব্যবহার ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মনোন্নয়নে করনীয়’ শীর্ষক সেমিনার, ২৬ মে ২০২৪, ১০ টা থেকে ২ টা মগবাজারস্থ দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রমনা শহর সমাজসেবা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কি ভাবে ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবহার, সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প এলাক্,া ঋণ গ্রহিতার দক্ষতার মনোন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে প্রধান আলোচক-প্রশিক্ষক ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহামন। বিশেষ আলোচক ছিলেন ঢাকা জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সালমা বেগম ও সমন্বয় পরিষদের ফরিদা ইয়াসমিন। সেমিনার সঞ্চালনা করেন সমাজসেবা অফিসার জিয়াউর রহমান চৌধুরী। শহর সমাজসেবা কার্যক্রমের কর্মী শেখ আরিফ হোসেন ও মাহাবুব আলম এবং সুজন, পুলিশ, সাংবাদিকরা প্রশিক্ষনে যুক্ত ছিলেন। প্রধান আলোচক বলেন-আরমানীটোলা কায়েরটুলিতে ১৯৫৬ সালে প্রথম সমাজসেবা অফিস প্রতিষ্ঠিত হয়। শহর এলাকায় ৩টা শাখা অফিস নিয়ে শুরু হয়েছিল।
এখন তার সেবা কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়ে ৮০টি হয়েছে। সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশুদ্ধ পানি পান, শিশুদের পড়ালেখা ও স্বাস্থ্য সেবা। শহর সমাজসেবার কার্যক্রমঃ কম্পিউটার প্রশিক্ষন, বিউটিফিকেশন, ইলেকট্রিক হাউস ওয়ারিং, এয়ারকন্ডিশন, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং, ড্রেস মেকিং এবং ট্রেইলারিং, ফুড এন্ড বেভারেজ, ইংরেজী প্রশিক্ষণ ইত্যাদি প্রশিক্ষণ সেবা রয়েছে। মুল কার্যক্রম হচ্ছে ক্ষুদ্র ঋণ। স্বল্প আয়ের মানুষ/কর্মীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। দক্ষতা কি? কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা (গুডস এন্ড সার্ভিস)। একটা বিষয়ে প্রশিক্ষণ থাকলে তার দক্ষতা অর্জন করা কোন বিষয় না। দক্ষতা অর্জন করে শহর সমাজসেবা প্রকল্প থেকে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা পর্যন্ত সুদ মুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ সেবা পেতে পারেন। এই প্রশিক্ষণ জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র ও এনএসডি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে। কর্মীকে নিবন্ধন নিতে হবে, ৩ মাস থেকে ৬ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা প্রশিক্ষণ ফি লাগবে। যাদের প্রশিক্ষণে অভিজ্ঞতা আছে তারা নিবন্ধন করে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করবেন। নিজের অর্থ, ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ব্যবসা হলে আবারো ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। প্রায় ৩ লক্ষ ২৭ হাজার কর্মী এ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করেছেন। সেচ্ছাসেবী সংগঠনের নিবন্ধন, ভাতা, প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র ঋণের জন্য শহর সমাজসেবা পরিচিত। ছবিঃ মোক্তাফিজ মিন্টু।