সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মালিবাগ মোড়ের শাহজালাল কমপ্লেক্সের দশম তলায় বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে “মুজিব নগর সরকারের ধারাবাহিকিতায় বর্তমান সরকারের সফলতা” শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি। প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় ধর্ম মন্ত্রী জনাব ফরিদুল হক খান এমপি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট ড. মশিউর মালেক।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে বর্তমান মেহেরপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে মুজিব নগর সরকার গঠিত হয় এবং ৯ মাস যুদ্ধ পরিচালনা করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়।১৯৭২ সালের ১০জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে সোনার বাংলা বিনির্মানে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিশ্বে প্রসংশিত।
সভপতির বক্তব্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে আজকে জাতির পিতাসহ সকল শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে মুজিবনগর সরকার দেশ স্বাধীন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে পদার্পণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী দূর্ণীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করলেও দূর্নীতিবাজরা থামেনি।তাদের থামাতে না পারলে এ উন্নয়ন মুখ থুবরে পড়বে।তাই এখনি সকলকে সজাগ হতে হবে। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কর্মীদের এসব দূর্ণীতিবাজদের চিহ্নিত করে জনগণের কাছে তাদের মুখোশ উন্মোচিত করতে হবে। বিশেষ অতিথি জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি বলেন ছদ্মবেশী জামাত বিএনপির নেতা কর্মীরা আজ আওয়ামীলীগের লেবাস গায়ে লাগিয়ে দলের ক্ষতি করছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রধান আলোচক সাবেক এমপি ও উপমন্ত্রী এবং বরগুনা জেলা কমিটির সভাপতি বাবু ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু মুজিব নগর সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট ও মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে তাদের সফলতার ধারাবাহিকতায় আজ বঙ্গবন্ধু কণ্যা দেশের উন্নয়ন ঘটাচ্ছেন।এ উন্নয়ন ধরে রাখতে হ’লে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের ভ্যানগার্ড হিসেবে পাহাড়া দিতে হবে।বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতাকর্মীরা সেক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নেতা কম্পলায়েন্স ও ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা এবং সুপ্রীম কোর্ট বারের সম্পাদক সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট শাহ মন্জুরুল হক দ্বয় বলেন অতীতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যে ভাবে দেশের স্বার্থে আইনী লড়াই করেছে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট বার এবং বার কাউন্সিলের নেতারা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পাশে থাকবে এবং সকল প্রকার সহযোগিতা করবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন। ডাঃমোঃআবদুস সালাম,কাজী মফিজুল হক, দেলোয়ার হোসেন, রাশেদা হক কনিকা, টিপু সুলতান, এড.স্বাসত মনির ড.মাহাবুবুর রহমান, ড.রেজাউল ইসলাম, সৈয়দ আইনুল হক, খালদা আক্তার, আমিনা ফেরদৌসি, শিল্পী আক্তার সোমা, আইরিন ইসলাম, মোঃ আরমান হোসেন, রেজাউল করিম সানু, আরিফুল হক স্বপনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে ঈদ পূনর্মিলনী এবং বৈশাখী উপলক্ষে সংগীতানুষ্ঠান শেষে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।