রুপসীবাংলা৭১ আইন-আদালত ডেস্ক : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই রাস্তায় যান চলাচল কম। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীরা। একইসঙ্গে শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আজ সোমবার সকাল ৮টায় সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষাভবন থেকে জাতীয় ঈদগাহ অভিমুখী সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল সীমিত করার পাশাপাশি তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন পুলিশ সদস্যরা। হাইকোর্টের প্রবেশপথেও ছিল পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ সময় প্রবেশকারীদের ব্যাগ তল্লাশির পাশাপাশি যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে ব্যাপক তলাশি করতে দেখা যায়। ভেতরে প্রবেশ করতেই সাঁজোয়া যানসহ ছিল সেনা সদস্যদের উপস্থিতি।
তারপরের ধাপেই ছিল র্যাব ও পুলিশের বিশেষ শাখার কঠোর নিরাপত্তা।
গত ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে। এরপর থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশে নিষিদ্ধ কার্যক্রম ঘোষিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন নাশকতার ঘটনা ঘটে। এছাড়াও এই রায়কে কেন্দ্র করে বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পাশাপাশি নাশকতা রোধে রাজধানীজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তায় কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বাংলামটর থেকে যমুনা অভিমুখী রাস্তা, মৎস্যভবন, প্রেসক্লাব, কদম ফোয়ারা ও যমুনার সামনে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি তৎপরতা। নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে যানবাহনস্বল্পতা দেখা গেছে।
মিরপুর থেকে সদরঘাট যেতে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন চাকরিজীবী জালিজ মাহমুদ। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, বিগত কয়েক দিনে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের মতো নাশকতায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউই বের হচ্ছেন না। রাস্তায় বের হয়ে দেখি বাসের স্বল্পতা। প্রায় আধা ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করছি।
আরাফাত রহমান নামে অপর এক চাকরিজীবী কালের কণ্ঠকে বলেন, যানবাহন পেতে সমস্যা হলেও চিরচেনা ব্যস্ত শহরের প্রায় অধিকাংশ সড়ক ছিল প্রায় ফাঁকা।এদিকে শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ট্রাইব্যুনালের সামনে যাওয়া হয়েছেন জুলাই যোদ্ধাসহ বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণ। শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিসহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
রুপসীবাংলা৭১/এআর

