নিজস্ব প্রতিনিধিঃ খুচরা সার বিক্রেতা এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ,ঢাকা আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। দেষের সকল জেলা থেকে আগত খুচরা সার বিক্রেতাগণ অংশগ্রহন করেন। দেশের খুচরা সার বিক্রেতার সংখ্যা ৪৪ হাজার এবং এই ৪৪ হাজার সার বিক্রেতা দেশের ৫ কোটি কৃষকের সেবার নিয়োজিত। কৃষি উপদেষ্টার ঘোষনা অনুযায়ী দেশজুড়ে লাইসেন্সধারী খুচরা সার বিক্রেতাদের সনদ স্থগিত করা হবে এবং দেশে খুচরা সার বিক্রেতা বলে কোন মহলকে আর পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে না। উক্ত ঘোষনায় তারা হতাশ এবং সংকায়। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং প্রদানের পূর্বে মানববন্ধনে খুচরা সার বিক্রেতাগণ অংশগ্রহন করেন।
কৃষি উপদেষ্টার ঘোষনা খুচরা ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা মধ্যে রয়েছে। দীর্ঘদিনের জীবিকা নির্ভর খুচরা সার বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় গিয়ে দাড়াবে? তাদের জীবন-জীবিকা ও পরিবার এক প্রকার অনিশ্চিয়তায় নিপাতিত হবে।
৪৪ হাজার খুচরা সার দেশের প্রায় ৫ কোটি কৃষকের সেবা ও সুরক্ষায় নিয়োজিত। খুচরা ব্যবসায়ীগণ কৃষি প্রধান দেশে দীর্ঘ ৩০ বছরের উর্দ্ধে পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ও স্থায়ী সুনাম অর্জনকারী প্রকৃত ব্যবসায়ী, ব্যাংক ঋণের কিস্তি প্রদানের মাধ্যমে কাজ করে চলছে। কৃষকদের সেবা দিতে গিয়ে ৩০-৪০ লক্ষ টাকা কৃষক পর্যায়ে বাকি দেওয়া ও পুঁজি বিনিয়োগকারী কৃষি নির্ভর দেশে চাষের মৌসুমে চাষীদের হাতে টাকা না থাকলে হাজার হাজার টাকা বাকিতে চাষিদের দোরগোড়ায় সার পৌছে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে সকলের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে নীতিমালার বিষয়ে মতামত নিলে মঙ্গলজনক হতো। ফলে অতীতের ন্যায় বর্তমান সরকারের প্রয়োজনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের হাস, জ্ঞান ও পেশা হচ্ছে এটাই। যার বাইরে আমাদের কোন কর্ম নেই।
নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগপ্রাত ৪৪,০০০ খুচরা সার বিক্রেতা সরকারী স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্রে সাবছ, সংকরী কোষাগারে ৩০,০০০/ টাকা জামানত জমাদান এবং কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত উপজেলা নিবাহী অফিসারের মাধ্যমে ও উপজেলা কৃষি অফিসার স্বাক্ষরীত আই.ডি, কার্ড, লাইসেন্স গ্রহন সহ, তৃণমূলে কৃষকের দোর গোড়ায় শুধুমাত্র ন্যায্যেমূল্যে সার পৌঁছে দেওয়ার কাজে একমাত্র পেশাগত দায়িত্বে আন আছি।আমরা এ পর্যন্ত এই প্রথাটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে সিন্ডিকেট দ্বারা “অবহেলিত ও বৈষ্যম্যের স্বীকার হয়ে আসছি যাহা খেসারত যোগ্য। তাই এই প্রথাটি সঠিক, সুষ্ট ও
অফিসিয়াল ভাবে বাস্তবায়ন হলে চিরদিনের মতো “সার সিন্ডিকেট নির্মূল” হবে ইনশাআল্লাহ। তাছাড়া এপ্রথাটি নীতিমালা থেকে বাদ দিলে প্রকৃত ব্যবসায়িরা-কর্মচারী ও নিজেদের পরিবার পরিজন নিয়ে, পুজি হারিয়ে দৈউলিয়া হয়ে, রাস্তায় নামা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না, সুতরাং সারাদেশে ৬৪ জেলার অরাজনৈতিক দেশপ্রেমি অধিকাংশ পত্রিকসূত্রে, দীর্ঘ ৩০ বছরের উর্দ্ধে, স্থায়ী সুনাম অর্জনকারী প্রকৃত ব্যবসায়ী, ব্যাংক ঋণের কিস্তি প্রদানের মাধ্যমে ৩০-৪০ লক্ষ টাকা কৃষক পর্যায়ে বাকী দেওয়া ও পুজি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত, আমাদের “খুচরা সার বিক্রেতা এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ” গত ২১/১২/২০১৩ তারিখে বানিজ্য মন্ত্রণালয়ে TO লাইসেন্সের জন্য আবেদন করি। ইতোমধ্যে জয়েন্ট স্টক কোম্পানী ও ফার্ম সমূহের পরিদপ্তরঃ হতে বিগত ২৪ আগস্ট ২০১৫ তারিখে এনসিএল নম্বর ২০১৫১৬৫২৭২ প্রাপ্ত হয়ে এ পরিদপ্তরের সুপারিশ সহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে টি ও লাইসেন্সের জন্য বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় বিগত ২৬/০৭/২০১৮ খ্রিঃ স্মারক নং- ২৬.০০.০০০০.১৫৭.৩৩.০০১.১৫-১৯০ এর প্রেক্ষিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং অধিশাখা “বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এ্যাসোসিয়েশন” নামক বাণিজ্য সংগঠন আছে বলে, “খুচরা সার বিক্রেতা এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ” এর স্বপক্ষে মতামত দেননি অথচ বাণিজ্য সংগঠন অধ্যাদেশ; ১৯৬১ এর ৩(২) ধারা মতে ‘বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এ্যাসোসিয়েশন’ ও ‘খুচরা সার বিক্রেতা এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ অনুরূপ কোনো সমিতি নয়। দুটোরই নাম, গঠনতন্ত্র, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও কর্মকান্ড ভিন্ন বিধায় এর স্ব-পক্ষে মতামত পাওয়ার জন্য হকদার বলে দাবী করেন।
তাই সার ব্যবস্থাপনা মনিটরিং অধিশাখার দেওয়া সূত্রস্থ স্মারক নং- ১২,০০,০০০০,০৩৫,৪০.০০৮.১৬-১৮২ তারিখ ১০ সেপ্টম্বর ২০১৮ খ্রি. এর মতামত “রিভিউ” পূর্বক নতুন সূত্র স্মারকে স্ব-পক্ষে ও অনুকূলে সম্পূরক মতামত সহ T.O নিবন্ধন পাওয়ার প্রার্থনা করেন। খুচরা সার বিক্রেতা ও তাদের পরিবারসহ ৫ কোটি কৃষক সরাসরি সুবিধাভোগী ও সেবাগ্রহীতা আর্থিকভাবে, লাইসেন্স বাতিল প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রন্থ হবে। যার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেশের তৃণমূলে আঘাত হানবে।
খুচরা সার বিক্রেতা আইডি কার্ডধারীদের বলবৎ ও চলমান রেখে আগামী ২৫ অক্টোবর ২০২৫খ্রি. তারিখের মধ্যে খুচরা সার বিক্রেতা এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর টি.ও নিবন্ধন পেতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে প্রধান উপদেষ্টার সুদৃস্টি কামনা করেন।

